ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৫ অক্টোবর, ২০২৩ ১৩:১২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৬২ বার
চট্টগ্রামের পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক উপপরিচালক ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় চান্দগাঁও থানার দুই সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ইউসুফ আলী এবং সোহেল রানাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুজনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, তাকে ধস্তাধস্তি করে থানায় নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। আর হৃদরোগী শহীদুল্লাহ অসুস্থ হওয়ার পরও পরিবারকে ওষুধ দিতে দেয়নি পুলিশ।
এ বিষয়ে শহীদুল্লাহর ছেলে আসিফ শহীদ বলেন, সৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লা নগরীর চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে এলাকায় নিজ বাসার সামনে হাঁটাহাঁটি করছিলেন শহীদুল্লাহ। সেখানে দুই পুলিশ এসে জানান তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। এখনই থানায় যেতে হবে। পরে স্থানীয় লোকজনের কাছে জানতে পেরে থানায় ছুটে যান পরিবারের সদস্যরা।
তাদের দাবি, শহীদুল্লাহকে থানায় নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। এমনকি ইনহেলার ও মেডিসিনও দিতে দেয়া হয়নি। পরে শহীদুল্লাহ অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ পরিবারের সদস্যদের ভেতরে ঢুকতে দেয়। এসময় তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে সিএনজি অটোরিকশা করে হাসপাতালে নেয়ার সময় পুলিশের অসহযোগিতা ছিল বল দাবি পরিবারের। এছাড়া পুলিশের অবহেলায় এ মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি স্বজনদের।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহতাব উদ্দিন (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বলেন, একটি সিআর মামলায় রাতে মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে গ্রেফতার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত পার্ক ভিউ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এমনকি পরিবারকে তাকে স্প্রে করার সুযোগ দেয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
তবে জায়গা নিয়ে বিরোধ থাকলেও শহীদুল্লাহ নামে কোনো মামলার কথা পরিবার কখন শুনেনি বলে দাবি করেন সন্তানরা।
মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সর্বশেষ চট্টগ্রামে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২-এ উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে ২০০৭ সালের অবসর নেন।