ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানে অগ্নিকাণ্ড,পুড়েগেছে শালগাছ।

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৭৩ বার


আলতাদিঘী জাতীয় উদ্যানে অগ্নিকাণ্ড,পুড়েগেছে শালগাছ।

ধামইরহাট (নওগাঁ) প্রতিনিধি 

 

নওগাঁর ধামইরহাটে আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যানের দক্ষিণ পাড়ে শালবনের ভেতরে ও বাইরের অংশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় শালবনের ভেতরে শুকনো লতাপাতা, বেতের গাছসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শালগাছ পুড়ে গেছে। 

 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর দুইটার সময়  সরেজমিনে দেখা গেছে এমন চিত্র। এসময় স্থানীয়দের ও দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শালবনের ভেতরে বেশ কিছু এলাকাজুড়ে দফায় দফায় অগ্নিশিখা ও কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখেন তারা। এরপর বনবিট অফিসার ফায়ার সার্ভিসের কর্মরত অফিসারদের অগ্নিকাণ্ডের খবরটি জানান। এরপর বেলা সাড়ে এগারোটায় ধামইরহাট ফায়ার সর্ভিসের কর্মীরা পানির অভাবে আগুন নেভাতে রীতিমতো হিমশিম খাওয়ায় তাদেরকে সহযোগিতা করতে পত্নীতলা ও বদলগাছি ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মীরা এসে যোগ দেয়। ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দুপুর গড়িয়ে বিকাল  লেগে যায় তাদের। 

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান শালবন। প্রতিদিন বনের ভেতরে ও বাইরে সকাল-সন্ধ্যা দর্শনার্থীদের আড়ালে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। শালবন অরক্ষিত থাকার কারণে বারবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। 

 

তারা আরও বলেন, "বনের দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে যত্রতত্র বেতের গাছ লাগানোর কারণে শাল গাছের বংশ বিস্তার থমকে যাওয়ার পাশাপাশি দুইপাশ থেকে শাল গাছ শূন্য হয়ে গেছে।"

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক কনফেকশনারী ব্যবসায়ী বলেন, বরাবর নেশাখোরদের কারণে বনের ভেতরে আগুন লাগার কথা বলা হয়। এ কারণে প্রকৃত দুষ্কৃতকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে।

 

বারবার আগুন লাগার ঘটনা ঘটলে পরিবেশ ভারসাম্যহীন হওয়ার পাশাপাশি আলতাদীঘি জাতীয় উদ্যান পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

 

নেশাখোরদের কারণে এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে এমনটাই জানিয়ে উপজেলা বনবিট অফিসার আনিছুর রহমান বলেন, বেলা সাড়ে ১১ টায় অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। এবং তারা এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। 

 

জেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, বনের আশেপাশে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ব্যবস্থা না থাকা এবং যত্রতত্র কাঁটাওয়ালা বেত গাছের কারণে ফায়ার সার্ভিসের দমকল কর্মীদের আগুন নেভাতে হিমশিম খেতে হয়েছে। 

 

তিনি আরও বলেন, দুপুর আড়াইটার মধ্যে আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে। এতে করে বনের প্রায় ২৫ শতাংশ এলাকার ৩০ থেকে ৪০ টি শাল গাছসহ লতাপাতা ও বেতের গাছ পুড়ে গেছে। বিড়ি সিগারেট থেকে আগুনে সূত্রপাত হতে পারে বলে তিনি জানান।

 


   আরও সংবাদ