ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১ মে, ২০২৪ ০৭:২১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ১২৭ বার
ঢাকা: শিখন ঘাটতি কাটাতে শনিবার অস্থায়ীভাবে বিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠদান অব্যাহত আছে। শুক্রবার প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এতথ্য জানানো হয়েছে।
দুর্যোগে ছুটি দিতে নীতিমালা করা হবে
শৈত্যপ্রবাহ, এক্সট্রিম হিট ওয়েভ, বন্যাসহ বিভিন্ন দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নীতিমালা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে শনিবারে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে তা স্থায়ী নয়।
শিক্ষামন্ত্রী মঙ্গলবার ঢাকা টিচার ট্রেনিং কলেজে বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণের জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়গুলোর জন্য আমাদের নির্দিষ্ট কর্মদিবস আছে। এখন আমাদের প্রয়োজনে শনিবার বিদ্যালয় খোলা রেখেছি। কারণ বেশ কিছু দিন বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এটি স্থায়ী বিষয় নয়। প্রয়োজনবোধে যেকোনো ছুটির দিন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত আগেও ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। এটা নতুন কিছু নয়। শুক্রবারও তো অনেক জায়গায় পরীক্ষা হয়, আগেও নেওয়া হতো। সেটা শুক্রবার হোক, শনিবার হোক, প্রয়োজন সাপেক্ষে খোলা রাখতে পারব।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একেক জেলায় একেক তাপমাত্রা। যে সমস্ত জেলায় আমাদের সন্তানরা অতিবৃষ্টির কারণে, বন্যার কারণে স্কুলে যেতে পারে না, অনেক কষ্ট হয়, স্কুল বন্ধ থাকে। সে সমস্ত জায়গায় শুষ্ক মৌসুমেই শিক্ষা কার্যক্রম তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। তাদের শিখন ফল অর্জনের জন্য। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, রাজধানী ঢাকায় তাপমাত্রা বাড়লে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসছে।
তিনি বলেন, রাজধানীতে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে ঢাকাতে আমরা স্কুল বন্ধ রাখতেই পারি।
প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার না হলে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তির সঠিক ব্যাবহারের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন কারিকুলামে সফট স্কিলসের মতো বিভিন্ন সৃজনশীল দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সৃজন ব্যক্তি মানেই মানবিক।
উল্লেখ্য, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিজয়ী ১৩৫ জন শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। তাদের মধ্য থেকে ১৫ জন জাতীয় পর্যায়ে সেরা নির্বাচিত হয়েছে।