ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ অগাস্ট, ২০২৪ ১৬:০৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭১ বার
‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহৃত হয় নাই। এ আইন ব্যবহৃত হয়েছে সরকারের নিরাপত্তার জন্য। বিগত সরকারের অবৈধ শাসন, দুর্নীতি ও লুটপাট সুরক্ষা দিতে এবং বিরোধী দলের কণ্ঠরোধ করার জন্য এ নিবর্তনমূলক জংলি আইন প্রনয়ন করা হয়েছিল। ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত বর্তমান অর্ন্তবর্তিকালিন সরকারের উচিত অবিলম্বে দ্রুততম সময়ে নিবর্তনমূলক সাইবার নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালো আইন বাতিল করা’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি, সাইবার সিকিউরিটি বা আইসিটি অ্যাক্টসহ এ ধরনের সব নিবর্তনমূলক আইনে সাজাপ্রাপ্ত ও চলমান সব মামলা বাতিল ঘোষণা করে অভিযুক্ত সবাইকে সসম্মানে মুক্তি ও ক্ষতিপূরণ দেয়া গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত এই সরকারের দায়িত্ব। যেসব সরকারি সংস্থা অথবা ব্যক্তিরা এসব আইন ব্যবহার করে মিথ্যা মামলা করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। ’
তারা বলেন, ‘বাকস্বাধীনতা এবং স্বাধীন সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করার নিবর্তনমূলক বিশেষ আইনগুলো অবিলম্বে বাতিল করা না হলে গণ অভ্যুত্থানের বিজয়ের প্রকৃত অর্জন প্রতিষ্ঠিত হবে না। আন্দোলনকে ঘিরে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল হয়রানিমূলক মামলাসহ অতীতের সকল হয়রানিমূলক মামলা বাতিল ও প্রত্যাহার করতে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত। বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তা আইন ও আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার ও বাতিল করতে হবে।’
নেতৃদ্বয় বলেন, ‘বিগত সরকার বাকস্বাধীনতা, সৃজনশীলতা এবং স্বাধীন সংবাদপত্র শিল্পের কণ্ঠরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করতে বিভিন্ন কারো আইন প্রনয়ন করেছিল। বিশেষ করে উপাত্ত সুরক্ষা আইন (খসড়া)-২০২২, ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওটিটি রেগুলেশন আইন-২০২১ (খসড়া), গণমাধ্যম কর্মী (চাকরির শর্তাবলি) আইন- ২০২২ (খসড়া), জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৭, দ্য প্রেস কাউন্সিল (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২২ (খসড়া)। প্রস্তাবিত এসকল বিশেষ আইনগুলো অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ’
তারা বলেন, ‘এই সকল আইনগুলো অপ্রয়োজনীয় আইন। এ ধরনের আইন বাতিল করা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক চাপে আইন সংশোধন করলেই, সেই আইন জনবান্ধব হবে তা নয়। সম্মিলিত জাতি গঠনের অন্তরায়, বাক-স্বাধীনতার উপর খড়গ এইসকল কালো আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে ভয়ংকর ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে সাংবাদিক বা নাগরিক গ্রেফতার করে যে তুঘলকি কান্ড সংগঠিত করে তা পুরো বিচার ব্যবস্থাকেই পঙ্গু করে দিয়েছিল। এই সকল অসাংবিধানিক আইন বাতিলের মাধ্যমে বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার পথ তৈরী করবেন বলে দেশবাসী আশা করি। ’