ঢাকা, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

চীন সফরে ‘উইমেন ইন টেক’-এর ৩ বিজয়ী

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৯৭ বার


চীন সফরে ‘উইমেন ইন টেক’-এর ৩ বিজয়ী

প্রযুক্তি খাতের নারীদের জন্য আয়োজিত হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ প্রতিযোগিতা ‘উইমেন ইন টেক’-এর তিন বিজয়ী চীনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বিজয়ীরা ইন্টারন্যাশনাল ডিজিটাল এনার্জি এক্সপো (আইডিইই) ২০২৪ প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া তারা হুয়াওয়ের প্রধান কার্যালয় ও ডংগুয়ান ক্যাম্পাসে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। গত ৩ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া এই সফর আগামী ১০ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।

 

উইমেন ইন টেকের’ বিজয়ীরা হলেন সাফরিনা কবিরমাহমুদা নাঈম এবং সুমাইয়া তারিক লাবিবা। সুমাইয়া তারিক লাবিবা এসবিআইটি লিমিটেডের একজন ডিজাইন ভেরিফিকেশন ইঞ্জিনিয়ার। মাহমুদা নাঈম ফোরওয়ার্ন বাংলাদেশের গবেষক ও সমন্বয়কারী এবং সাফরিনা কবির ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (আইইউটি)-এর একজন ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী।

 

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশের সিইও প্যান জুনফেং বলেন, ‘‘এসটিইএম (বিজ্ঞানপ্রযুক্তিইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত)-এর ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য কমানোর লক্ষ্যে আমরা প্রতিভাবান নারীদের এ বিষয়ে আগ্রহী করতে চাই। পাশাপাশি তাঁদেরকে প্রযুক্তিক্ষেত্রে সফল ক্যারিয়ার গড়তেও আমরা উৎসাহ দিতে চাই। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করিআন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের প্রমাণ করার মতো বিশ্বমানের প্রতিভা বাংলাদেশের নারীদের রয়েছে। উইমেন ইন টেক বিজয়ীদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিতে হুয়াওয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যাতে তারা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।

 

গত বছর প্রথমবারের মতো ‘টেক ফর হারটেক বাই হারটেক উইথ হার’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এই উদ্যোগে হুয়াওয়ের কৌশলগত সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে ইউনেস্কো। ৭৫০ জন অংশগ্রহণকারীর মধ্য থেকে ১৮ জনকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত করা হয়। প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী হন এই তিনজন।

 

হুয়াওয়ে ‘উইমেন ইন টেক’-এর লক্ষ্য হলো প্রশিক্ষণনির্দেশনা ও বিশ্বের প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সাথে পরিচিতির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন করে এসটিইএম-এর ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্য দূর করা। হুয়াওয়ের সম্পূর্ণ সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক একটি বিশ্ব তৈরির লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রোগ্রামটি সারা বিশ্বের শত শত তরুণীকে প্রযুক্তি খাতে পেশা গ্রহণে ও উদ্যোক্তা হতে অনুপ্রাণিত করেছে।


   আরও সংবাদ