ঢাকা, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশকে নিরাপদ ভাবার সুযোগ নেই

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৫ বার


শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশকে নিরাপদ ভাবার সুযোগ নেই

গাইবান্ধা: শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশকে এত দ্রুত নিরাপদ ভাবার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মামুনুল হক।  

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধার ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, শাপলা চত্বরের সব শহীদ ও আহতদের স্মরণে দোয়া এবং নৈরাজ্যবাদ বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

 

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও বাংলাদেশকে নিরাপদ ভাবার সুযোগ নেই। কারণ শেখ হাসিনা ও তার পরামর্শদাতারা বসে নেই। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তারা ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। বাংলাদেশ ধ্বংসের পাঁয়তারা বন্ধ করে নাই তারা।

তাই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলায় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার বিকল্প নেই। গণঅভ্যুত্থানের আগের সুদৃঢ় ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।  

তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন ছিল রক্তপ্রবাহিত করে মানুষকে হত্যা করা। গোটা বাংলাদেশকে মৃত্যুপুরীতে পরিণত করার মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদ আঁকড়ে ধরেছিল সে। কিন্তু আন্দোলনের মুখে তার পতন হয়েছে।  

নেতাকর্মীদের হুমকির মুখে ফেলে স্বার্থপরের মতো নিজে ও নিজের বোনকে নিয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন।

মামুনুল হক বলেন, শেখ হাসিনা সংখ্যালঘুদের নির্যাতন করে বিভক্ত করে তাদের অধিকার কেড়ে নিয়ে বাংলাদেশের একটি বিভক্ত সমাজ ও দেশকে বিভক্ত রাষ্ট্রে পরিণত করেন। তিনি রাতের বেলায় হিন্দু বৌদ্ধদের উপাসনালয়ে কালনাগিনী হয়ে হামলা করেন সকালে ওঝা হয়ে ঝাড়তেন। তার পতনের পর বাংলাদেশ এখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণে পরিণত হয়েছে।

মামুনুল হক আরও বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে নিজের আখের গুছিয়েছে। দেশের সবক্ষেত্রে দুর্নীতি করেছে। সর্বোপরি দেশটার বারোটা বাজিয়েছে আওয়ামী লীগ।  

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলায় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সুফল ধ্বংস করতে চায়।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস গাইবান্ধা জেলার আহ্বায়ক মুফতি ইউসুফ কাসেমীর সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা ও খেলাফত মজলিসের বায়তুল মালের সহ সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান।

এছাড়া আমন্ত্রিত ওলামায়ে কেরাম ও অতিথিবৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা ইমাম ওলামা পরিষদের সভাপতি ও মুন্সিপাড়া মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আব্দুল বাসেত, ইমাম ওলামা পরিষদের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, আলফালাহ মাদরাসার মুহতামিম মুফতি মামুনুর রশিদ।

খেলাফত মজলিস গাইবান্ধার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, সাদুল্লাপুরের মোলং বাজার হামিউসসুন্নাহ মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা রবিউল ইসলাম ও সুন্দরগঞ্জের খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মাহবুব আলম।

সমাবেশের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন গণসমাবেশ এন্তেজামিয়া কমিটির আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা মানসুরুর রহমান।


   আরও সংবাদ