ঢাকা, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ছয় মাসের মধ্যে সরকারি এলসির দায় পরিশোধ সম্ভব: গভর্নর

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৭ বার


ছয় মাসের মধ্যে সরকারি এলসির দায় পরিশোধ সম্ভব: গভর্নর

ঢাকা: আগামী ছয় মাসের মধ্যে সরকারি লেটার অব ক্রেডিটের (এলসি) দায় পরিশোধ সম্ভব বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং ১২২টি করেসপনডেন্ট ব্যাংকের প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

পরে সাংবাদিকদের কাছে এসব তথ্য তুলে ধরেন ব্যাংকটির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।  

 

খোলাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল ১২১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ২২ টাকা ৮০ পয়সা পর্যন্ত ডলার কিনছেন মানি এক্সচেঞ্জাররা। বিক্রি করছেন ২২ টাকা থেকে ২২ টাকা ৫০ পয়সায়।  

রাজধানীর ফকিরাপুলের দিবেদিতা মানি এক্সচেঞ্জারের প্রধান কে এম মকছেদুর রহমান জানান, তারা ডলার ১২১ টাকা ৮০ পয়সায় কিনছেন। সেটার দাম কমবেশি হতে পারে কতসংখ্যক ডলার কেনাবেচা হবে তার ওপর। উল্লেখ্য, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ১১৯ টাকায় কিনছে এবং ১২০ টাকায় বিক্রি করছে।

গভর্নরের বরাত দিয়ে হুসনে আরা শিখা বলেন, এলসির দায় মেটাতে প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৬০ মিলিয়ন ডলার দায় পরিশোধ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই মধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে ৮০০ মিলিয়ন ডলার। বাকি প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার আগামী পাঁচ-ছয় মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। বৈঠকে সরকারি এলসির বকেয়া পরিশোধে বিদেশি ব্যাংকগুলোকে আস্থা রাখার অনুরোধও করেছেন গভর্নর মনসুর।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে ও কার্ব মার্কেটে ডলারের দামের পার্থক্য এখন ১ শতাংশেরও কম। এ ছাড়া প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রবাহের কারণে রিজার্ভও বাড়ছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে প্রবাসীরা বিপুলসংখ্যক রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। রিজার্ভ বৃদ্ধির বড় কারণ এটি। এর মাধ্যমে রিজার্ভের ক্ষয় থামানো গেছে।

তার ভাষায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান রিজার্ভ দুই হাজার ৪৩০ কোটি ডলার। অবশ্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে এর পরিমাণ দুই হাজার কোটি ডলারের কাছাকাছি।

হুসনে আরা শিখা আরও বলেন, সংকট কাটতে শুরু করায় ব্যাংকগুলো এখন নিজেরাই ডলার কেনাবেচা করতে পারছে। ডলারের বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। আন্ত ব্যাংক লেনদেন সক্রিয় থাকায় বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল থাকবে বলেও তিনি আশাবাদী।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী চলতি মাসের প্রথম দুই সপ্তাহে ১১৬ কোটি ৭২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২০ টাকা হিসাবে) ১৪ হাজার ছয় কোটি টাকার বেশি। সে হিসেবে প্রতিদিন আসছে আট কোটি ৩৪ লাখ ডলার করে। এভাবে রেমিট্যান্স আসার ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে চলতি মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রেমিট্যান্স আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


   আরও সংবাদ