ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৫ বার
চাঁদপুর: শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর চাঁদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী ডা. দীপু মনির বিরুদ্ধে ৩টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় তাকে আজ চাঁদপুর আদালতে হাজির করার প্রস্তুতি থাকলেও শেষ পর্যন্ত হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না।
এর কারণ হিসেবে আইনজীবীসহ ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে বলা হয়-বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীদের হত্যাসহ নানা ক্ষোভের কারণে আদালতে আনা হলে তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ হতে পারে।
বুধবার (১৮ এপ্রিল) দীপু মনিকে চাঁদপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হচ্ছে না বলে আদালতের সিনিয়র আইনজীবী সলিম উল্যাহ সেলিমসহ একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ডা. দীপু মনিসহ আওয়ামী লীগ ও তার সিন্ডিকেটের লোকদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত চাঁদপুর সদরে ৩টি মামলা হয়েছে। দুটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুকবুল হোসেন এবং অপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) লোকমান হোসেন।
প্রথম মামলাটি হচ্ছে গত ১৮ জুলাই চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের জেএম সেনগুপ্ত রোডের বাসা মনিরা ভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় দীপু মনি ও তার ভাই টিপুকে হুকুমের আসামি করে মামলা করা হয় ।
চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় দীপু মনি, তার ভাই জে আর ওয়াদুদ টিপু ও ড. সেলিম মাহমুদসহ ৬২৪ জনকে আসামি করে দ্বিতীয় মামলাটি করা হয়। মামলাটি করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিক্ষার্থীর অভিভাবক নুরুল ইসলাম খান।
তৃতীয় মামলাটি হচ্ছে চাঁদপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব ও পশ্চিম পাশের সড়ক ভবন এলাকায় বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করেন মোক্তার আহমেদ নামে এক ব্যক্তি।
দীপু মনিকে চাঁদপুর আদালতে হাজির করা প্রসঙ্গে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র আইনজীবী সলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তিন মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য দীপু মনিকে চাঁদপুর আদালতে আনার কথা। দীর্ঘ ১৭ বছর তিনি ও তার সিন্ডিকেট মানুষকে অনেক হয়রানি করেছেন। বিক্ষুব্ধ জনতা অপেক্ষায় আছে কবে তাকে আদালতে হাজির করা হবে। তবে তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ হতে পারে এমন শঙ্কায় চাঁদপুর আদালতে হাজির করা বাতিল করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দীপু মনি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে চাঁদপুরে বিএনপি-জামায়াতের ২৩ জন লোক তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নির্দেশনায় পুলিশের হাতে প্রাণ হারিয়েছে। সেসব লোকদের পরিবারের সদস্যরা বিচার, অত্যাচার, দুর্নীতি ও সীমালঙ্ঘনের জন্য তাকে খুঁজছে। একই সঙ্গে দীপু মনি চাঁদপুরের রাজনীতির সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি নষ্ট করেছেন। প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ও প্রবীণ আওয়ামী লীগের লোকজনের তাকে খুঁজছে এসব প্রশ্নের জবাব নিতে।