ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৭ অক্টোবর, ২০২৪ ১৫:৪৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৬ বার
ঢাকা: এ মুহূর্তে এনজিওগুলোর কার্যক্রমকে সুস্থভাবে পরিচালনা করার সবচেয়ে বড় বাধা প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবন্ধকতা ও দুর্নীতি। সেই প্রতিবন্ধকতা ও দুর্নীতি অনেক সময় ইচ্ছাকৃত, অনেক সময় সরকারের নীতি প্রণোদিতভাবে হয়েছে।
এজন্য তারা এনজিওগুলোকে দেখভাল করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করেছেন। এছাড়া জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, সরকারি যে যে প্রতিষ্ঠানসমূহ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে তাদের কথাও বলেছেন বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা।
সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি ভবনে শ্বেতপত্র কমিটি ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন এনজিওর ৭৮ জন প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক শেষে কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা সরকারের বিদেশে যে দূতাবাসগুলো রয়েছে তাদের ভূমিকা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন। সেহেতু সরকারি ব্যবস্থাপনাকে আরও সুষ্ঠু করার, দুর্নীতিমুক্ত করার বিষয়টি তারা বড় বিষয় হিসেবে দেখছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. দেবপ্রিয় বলেন, সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নিবন্ধন, নবায়ন ও নতুন প্রকল্পের অনুমোদন নিতে গিয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলো দুর্নীতির শিকার হচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, বাংলাদেশের যে উন্নয়ন বিগত এক দশকে এবং তার আগে থেকে হয়েছে সেখানে বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলো গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এ বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের অবদানের স্বীকৃতি একটি বড় বিষয় হিসেবে প্রতিপাদ্য হয়েছে। এ স্বীকৃতি না হওয়ার ফলে এনজিওর কার্যক্রমটা জনগণের কাছে প্রকাশ পায় না। অন্যদিকে সরকার থেকে যে সাহায্য ও সমর্থন আশার কথা সেটাও আসে না। সেহেতু এ স্বীকৃতিটা উন্নয়নের ক্ষেত্রে বেসরকারি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণভাবে বিবেচিত হওয়া দরকার।
তিনি আরও বলেন, সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগগুলোতে বেসরকারি প্রতিনিধি রাখা হয় না। সমাজে ক্রমবর্ধমান বৈষম্য, প্রান্তিকীকরণ ও মূল্যস্ফীতিজনিত মানুষের যে দুর্দশা বাড়ছে এখানে এনজিওগুলোকে সম্পৃক্ততা বাড়াতে সরকারের সমর্থন ও নীতির সমন্বয় প্রয়োজন বলেও জানান ড. দেবপ্রিয়।