ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ১৫:০৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৯ বার
ঢাকা: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের দিশেহারা অবস্থা। বাজারে ঢুকলেই উঠছে নাভিশ্বাস।
বিশেষ করে সবজির বাজারে যেন আগুন লেগেছে। এমন অবস্থায় চাল, ডাল, চিনির পর এবার ন্যায্যমূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু করেছে সরকার। ওএমএস কর্মসূচির আওতায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে ৬৫০ টাকায় ক্রেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ১০টি কৃষিপণ্য।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর খাদ্য ভবনের সামনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এ ওএমএস কর্মসূচির উদ্বোধন করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রাথমিকভাবে রাজধানীর ২০টি স্থানে ট্রাকসেলের মাধ্যমে এসব কৃষিপণ্য দেওয়া হবে। স্থানগুলো হলো- খাদ্য ভবন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, মিরপুর-১০, বাসাবো, বসিলা, রায়ের বাজার, রাজারবাগ, মুগদা-উত্তর, মুগদা-দক্ষিণ, পলাশি মোড়, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড, বেগুনবাড়ী, উত্তরখান, দক্ষিণ খান, কামরাঙ্গীরচর, রামপুরা ও ঝিগাতলা।
ট্রাকসেলের মাধ্যমে ৬৫০ টাকায় ১০টি কৃষিপণ্যের প্যাকেজ ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রয়েছে- ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি আলু, ১৩০ টাকায় এক ডজন ডিম, ৭০ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ, এক পিস লাউ ৫০ টাকা। এছাড়া এক কেজি মিষ্টি কুমড়া, এক কেজি করলা, এক কেজি পটল, এক কেজি কচুরমুখী, তিন কেজি পেঁপে, ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ পাওয়া যাবে ২৫০ টাকায়। এ পুরো প্যাকেজই ক্রেতাকে কিনতে হবে একসঙ্গে। এর জন্য ৬৫০ টাকা গুনতে হবে তাকে।
ট্রাকসেল কার্যক্রম উদ্বোধন করে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোক্তারা যাতে সুলভ মূল্যে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু পায় সেজন্য আমাদের এ প্রচেষ্টা। আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করি।
কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আমরা ন্যায্যমূল্যে ডিম, আলু, পেঁয়াজ, সবজি যেন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারি সেজন্য এ কার্যক্রম নিয়েছি। এ কার্যক্রমটি নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাজারের প্রতিটি স্তরে সিন্ডিকেট আছে। সেটি দমনে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি আপনাদের (সাংবাদিক) সহযোগিতা চাই। আপনারা ইনভেস্টিগেশন করে আমাদের জানান রাস্তায় কোথায় চাঁদাবাজি হয়, আমরা অবশ্যই সেই চাঁদাবাজি বন্ধ করে দেবো।
এদিকে সুলভ মূল্যে কৃষিপণ্য পেয়ে খুশি ক্রেতারা। সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে খাদ্য ভবনের সামনে পণ্য কিনতে এসেছেন গৃহিণী মিনু। তিনি বলেন, বাজারে এ পণ্যগুলো কিনতে গেলে দেড় হাজার টাকার কমে কিনতে পারতাম না। এখানে মাত্র ৬৫০ টাকায় কিনতে পেরেছি। এ উদ্যোগটি আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়েছে।