ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২০ অক্টোবর, ২০২৪ ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৩ বার
ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহাম্মদ সালাউদ্দিন কোচ হিসেবে বেশ বড় নাম। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা জিতিয়েছেন চারবার।
দেশের অনেক নামী ক্রিকেটারও ‘গুরু’ হিসেবে মানেন তাকে। প্রায়ই ঘুরেফিরে আসে তাকে জাতীয় দলের দায়িত্বে দেখার কথা।
যদিও কয়েক বছর আগে জাতীয় দলের সহকারী কোচ হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন সালাউদ্দিন। তখন জানিয়েছিলেন এর কারণও। শনিবার মিরপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আবারও এ নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন, বিসিবির সঙ্গে নতুন করে আলাপ হচ্ছে তার।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘(কাজ করা) কেন হয়নি এই কারণগুলো আমি আগেও একবার বলেছি। আমার সঙ্গে কথা হচ্ছে (এখন)। দেখি কী হয়। একেবারে যে ইচ্ছে নেই, তা নয়। ইচ্ছে আছে। কিন্তু সবকিছুই তো...একটা জিনিস আপনাদের বুঝতে হবে আমি বোর্ডের কর্মী নই। আমি শেষ ১০ বা ১৫ বছর ধরে বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ নই। ’
‘দীর্ঘ ১৫ বছর আমার পেট চালাতে হয়েছে বাইরের অর্গানাইজেশনের সঙ্গে। কোনো কিছু আমার হুট করে ফেলা আসাও সম্ভব না। আমি যদি বোর্ডের কোচ হতাম, যখন বলতো তখনই আমি ঢুকে যেতে পারতাম। কিন্তু এখানে তো আমার অনেক কিছু চিন্তা করতে হয়। ’
‘কারণ তারা আমাকে এত বছর খাইয়েছে, পরিয়েছে। তাদেরকে তো আমি হুট করে ফেলে আসতে পারবো না। সবকিছু একটা সময়ের ব্যাপার এবং চিন্তা-ভাবনার ব্যাপার। সবকিছু যেন সুন্দর হয়, এটা হলে সবার জন্যই ভালো হবে। ’
এর আগেও জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করেছেন সালাউদ্দিন। ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল অবধি ছিলেন সহকারী কোচ। নতুন প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার কারণ যে শুধু অর্থনৈতিক নয়, সেটিও মনে করিয়েছেন সালাউদ্দিন। সহকারী কোচ থেকে চাকরি যাওয়ার ‘বাজে অভিজ্ঞতা’ এখনও মনে আছে বলে জানান তিনি।
সালাউদ্দিন বলেন, ‘দেখুন, সবকিছু যে অর্থনৈতিক ব্যাপার তা না। আমার একটা বাজে অভিজ্ঞতা কিন্তু আগে হয়েছে। আমি যখন সহকারী কোচ ছিলাম, তখন আমার একটা বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেটা হয়তো আমার মনের ভেতর এখনও আছে। যেহেতু আমি তখন সহকারী কোচ ছিলাম, হঠাৎ করে আমাকে কেউ জানে না, আমি বাসায় বসে টিভিতে দেখব বাচ্চা কোলে নিয়ে; সেটা তো আমাকে হিট করতেই পারে। ’
‘আসলে একটা প্রসেস থাকা উচিত, যখন আপনি আমাকে রাখবেন না। যেকোনো অফিসে একটা অফিশিয়াল প্রসিডিউর থাকে। যেমন আপনারা হাথুরুসিংহেকে বাদ দিয়েছেন, তাকে তো জানিয়ে নিয়েছেন যে তুমি থাকবে না। আমাদের সময় কেন এমন হবে। আমি দেশি দেখেই হয়তো এরকম হয়েছে। অনেক সময় সম্মান একটা বড় ফ্যাক্টর। আপনাকে সেভাবে যদি গুরুত্ব না দেওয়া হয়, ট্রিট করা না হয়; তখন অনেক সময় অনেক কিছু চিন্তা করতে হয়। ’