ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

অভিযোগ জানানোর ফোরাম পেয়েছে ছাত্র-জনতা: আইন উপদেষ্টা

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২০ অক্টোবর, ২০২৪ ১৫:৪৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩১ বার


অভিযোগ জানানোর ফোরাম পেয়েছে ছাত্র-জনতা: আইন উপদেষ্টা

ঢাকা: সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবনের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতা তাদের অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করার একটা ফোরাম পেয়েছে বলে মনে করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন কথা বলেন।

 

সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফের কার্যকর হওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, এই কাউন্সিল এখন অপারেশনাল করা যাবে। বর্তমান সময়ে এসে এটার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। আমাদের হাইকোর্টে কিছু বিচারক আছেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে তাদের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। জুলাই গণবিপ্লবে পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি ছিল, সেই শক্তির নিপীড়ক যন্ত্রে পরিণত হয়েছিল। কারও কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে, পত্রিকায় খবর ছাপা হয়েছে। ছাত্র-জনতার ক্ষোভ রয়েছে।

তিনি বলেন, এখন সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে নিষ্পত্তির একটা অ্যাভিনিউ খুলে গেছে। এছাড়া উচ্চ-আদালত সম্পূর্ণ স্বাধীন, তারা তাদের মতো করে ব্যবস্থা নেবেন। তবে আমরা মনে করি, ছাত্র-জনতা তাদের অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করতে একটা ফোরাম পেল। এটিকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে দেখতে চাই।

কবে গঠন হবে এই সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল জানতে চাইলে আসিফ নজরুল বলেন, এটা আমাদের সংবিধান অনুযায়ী এরই মধ্যে গঠন করা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ দুজন বিচারক মিলে গঠিত হয়। এখন কেউ যদি আজই কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন, তাহলে সেটির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। অভিযোগ দিতে হবে, আলাদা নোটিফিকেশনের দরকার নেই।

সুপ্রিম জুডিশিয়াল না থাকায় উচ্চ-আদালতের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ফোরামটা ছিল না জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, আবার জবাবদিহি নিশ্চিত করার ইচ্ছাও তৎকালীন উচ্চ-আদালতের প্রশাসনের ছিল না। তখন ফরমায়েশি রায় হয়েছিল। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে-রকম রায় হয়েছে, যেমন হয়েছে যে, তারেক রহমানকে বাংলাদেশে কথাই বলতে দেওয়া হবে না।

আইন উপদেষ্টা বলেন, বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ করার মতো এমন রায়ও হয়েছে। এছাড়া বহু মানুষ তাদের মানবাধিকার রক্ষা করার সুযোগ পাননি। বিভিন্নভাবে নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে যারা কর্তৃপক্ষ রয়েছেন, আদালতের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার সদিচ্ছা তাদের আছে। এবার সেটা বাস্তবায়ন করার ফোরামও পুনরুজ্জীবিত হয়েছে। এটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছি।


   আরও সংবাদ