ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

জ্বালানি খাতের সব কেনাকাটা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২০ অক্টোবর, ২০২৪ ১৬:৪০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৮ বার


জ্বালানি খাতের সব কেনাকাটা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে

ঢাকা: কোনো যোগসাজশের মাধ্যমে নয়, এখন থেকে জ্বালানি খাতের সব কেনাকাটা উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

রোববার (২০ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীতে হোটেল সোনারগাঁওয়ে ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) আয়োজিত ‘সাসটেইনেবল এনার্জি ফর বাংলাদেশ’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

 

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, এখন থেকে গণশুনানির মাধ্যমে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করবে। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম নিধারণে সরকার কোনো ভূমিকায় থাকবে না।

তিনি বলেন, ধান কাটার মৌসুমের মতো সবাই দাবি নিয়ে সরকারের কাছে আসছে। দেশে গণতান্ত্রিক আবহ চলছে, যে কেউ যে কোনো দাবি করছে। যে কেউ যে কোনো দাবি করতে পারে। তবে আমরা বলতে চাই, কোনো নাশকতা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেকেই মনে করতে পারেন, এই সরকারকে দুর্বল, চাপ দিলে সব দাবি মেনে নেওয়া হবে। আসলে বিষয়টি এমন নয়। এটা বোঝার চেষ্টা করেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের পর একমাত্র এই সরকারের জন্য এক হাজারের বেশি মানুষ জীবন দিয়েছে। সুতরাং কারো মনে করার কারণ নেই এই সরকার দুর্বল। বর্তমান সরকার অন্য যেকোনো সরকারের চেয়ে শক্তিশালী। বর্তমান সরকারের ম্যান্ডেট একমাত্র ১৯৭১ সালের ঘটনার সাথে তুলনীয়।

প্রথাগত সরকারের থেকে বর্তমানে সবকিছু ভিন্নভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করার দাবি জানিয়েছে, সবাই ধানকাটা মৌসুমের মতো রাস্তায় বসে যাচ্ছে। দাবি করলেই এটা মেনে নেওয়া হবে, এরকম কোনো কথা নেই। কিন্তু আমরা বলি নাই এটা বিবেচনা করা হবে না। কিন্তু এখনই ঘোষণা দেওয়া হবে, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না।

ফাওজুল কবির খান বলেন, পল্লী বিদ্যুতে আউট সোর্স করা জনবলকে নিয়মিত করার দাবি উঠেছে। শুধু পল্লী বিদ্যুতেই বাইরের লোক কাজ করে না, সরকারের বিভিন্ন সংস্থাতে বাইরের লোক কাজ করছে। এখানে আর্থিক সংশ্লেষ আছে। এটা করতে হলে বিচার বিবেচনা করতে হবে; বললেই নিয়মিত করা হবে, এমনটা নয়।

তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতে যারা আন্দোলন করছেন তারা যদি কাজ না করতে চায়, না করুক। আমাদের বিকল্প লোক রেডি আছে। বিদ্যুৎ সেবা জরুরি জনসম্পৃক্ত বিষয়, কোনোভাবেই আমরা ব্যত্যয় হতে দেব না।

এফআইসিসিআই সদস্য ও জিই ভারনোভা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এজাজ নওশাদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বদরুল ইমাম, রেজোয়ান  খান, সাংবাদিক মোল্লা আমজাদ প্রমুখ।


   আরও সংবাদ