ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী ইমরান

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২১ অক্টোবর, ২০২৪ ১৭:২৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৪ বার


৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী ইমরান

ঢাকা: সিন্ডিকেট করে ২৪ হাজার কোটি অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচারের মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

সোমবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

 

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হাছান সাবেক এ মন্ত্রীর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ডসহ জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচারের অভিযোগে ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন আফিয়া ওভারসিজের প্রোপাইটর আলতাব খান। মামলায় আসামিদের নামে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ, সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সাবেক সংসদ সদস্য ও এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (অব.), আহমেদ ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর ও সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ এবং ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর মো. রুহুল আমীন স্বপনসহ ১০৩ জনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে বাদী আলতাব খান অভিযোগ করেন, জনশক্তি রপ্তানিতে দুই হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্ট থাকলেও মামলার আসামিরা মাফিয়া সিন্ডিকেট চক্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে সংবিধানের মূলনীতি পরিপন্থি জঘন্য অপরাধ করেছে। আসামি সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন সরকারি চাকরিরত অবস্থায় নিজ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছেলেকে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য হিসেবে ব্যবহার করেছেন। আর সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ তার পরিবারের সদস্য অর্থাৎ তার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলেকে বিধিবর্হিভূতভাবে প্রবাসী নামক একটি অ্যাপস চালুর অনুমোদন দিয়ে চক্রকে সহযোগিতা করেছেন।

বাদী আরও উল্লেখ করেন, পরস্পর যোগসাজশে তার সরলতার সুযোগে ভয়ভীতি ও বলপ্রয়োগ করে মানবপাচারের উদ্দেশ্যে তার কাছ থেকে জোর করে অতিরিক্ত চাঁদা হিসেবে প্রত্যেকের দেড় লাখ টাকা হারে ৮৪১ জনের ১২ কোটি ৫৬ লাখ এক হাজার টাকা আদায় করেছে। এছাড়া তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করেছে।


   আরও সংবাদ