স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১১:৩৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৬ বার
পুরো যুক্তরাষ্ট্রের ২৯টি দলের মধ্যে পূর্ব অংশের ১৫টি দল নিয়ে চলে ইস্টার্ন কনফারেন্স। আর পশ্চিম দিকের ১৪ টি রাজ্যের দল নিয়ে গঠিত ওয়েস্টার্ন কনফারেন্স। মূলত ভ্রমণ জটিলতা এড়াতেই যুক্তরাষ্ট্রের লিগে এক অভিনব নিয়ম চালু করা হয়েছে। যা বেশ জটিল এক পদ্ধতি।
মেসির নতুন এই লিগের পদ্ধতি বুঝতে সমর্থকদেরও বেশ বেগ পেতে হয়। সাধারণ ইংলিশ, স্প্যানিশ কিংবা অন্যান্য লিগের সাথে এর মিল নেই বললেই চলে। চলুন একনজরে জেনে নেয়া যাক এমএলএসের যত নিয়ম।
ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন কনফারেন্স:
যুক্তরাষ্ট্রের লিগ দুই ভাগে বিভক্ত। পূর্বদিকের ১৫টি রাজ্যের দল নিয়ে চলে ইস্টার্ন কনফারেন্স। আর পশ্চিমের ১৪ টি দল নিয়ে চলে ওয়েস্টার্ন কনফারেন্স। মেসির বর্তমান দল ইন্টার মিয়ামি ইস্টার্ন কনফারেন্সের অংশ। ১৫ দলের মাঝে সবার নিচেই অবস্থান করছে ক্লাবটি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের লিগ পদ্ধতিতে অবনমনের নিয়ম নেই।
লিগে প্রতিটি দল ৩৪টি করে ম্যাচ খেলে। ১৭টি হোম ও ১৭টি অ্যাওয়ে। ইস্টার্ন কনফারেন্সের টিমগুলো তাদের কনফারেন্সের প্রতিটি দলের বিপক্ষে দুইটি করে ম্যাচ খেলে এবং ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সের ৬টি দলের বিপক্ষে একটি করে ম্যাচ খেলে।
অন্যদিকে ওয়েস্টার্ন কনফারেন্স কিছুটা জটিল। তারা তাদের নিজেদের কনফারেন্সে টিমগুলোর বিপক্ষে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। আবার কোন দলের বিপক্ষে ৩টি ম্যাচও খেলতে হতে পারে এবং তারা ইস্টার্ন কনফারেন্সের দলগুলোর বিপক্ষে ৬টি বা ৭টি ম্যাচ খেলবে। দুই কনফারেন্সের দলসংখ্যা সমান না হওয়ায় মূলত এমন নিয়ম।
সাপোর্টার্স শিল্ড:
ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন লিগের দলগুলো সাধারণ নিয়মে একে অন্যের বিপক্ষে ম্যাচ শেষ করে। যাকে বলা হয় এমএলএস রেগুলার সিজন। রেগুলার সিজনে দুই কনফারেন্সের ২৯ দলের মধ্যে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দল জিতে নেয় সাপোর্টার্স শিল্ড।
এমএলএস কাপ:
যুক্তরাষ্ট্রের লিগে প্রধান প্রতিযোগিতা বলা হয় এমএলএস কাপকে। মোট ১৮ দলের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় এটি। ইস্টার্ন কনফারেন্সের প্রথম ৭ দল এবং ওয়েস্টার্ন কনফারেন্সের ৭ দল সরাসরি এখানে সুযোগ পায়।
আর দুই কনফারেন্সের অষ্টম ও নবম দলগুলোর জন্য রয়েছে ওয়াইল্ড কার্ড। তারা মুখোমুখি হবে প্রিলিমিনারি প্লেঅফে। এটি এমন একটি পদ্ধতি যেখানে, যাদের পূর্বের র্যাঙ্কিং ভালো তারা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকে।
জয়ী দলগুলো প্রথম মূল প্লে অফে এক লেগের ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই কনফারেন্সের ২য় থেকে ৭ম স্থানে থাকা দলগুলোর যেকোনটির বিপক্ষে। এই ১২ দলের মধ্যে জয়ী ৬ দল জায়গা করে নেবে কনফারেন্স সেমিফাইনালসে বা প্লে অফ সেমিফাইনালসে। আর দুই কনফারেন্সের শীর্ষ দুই দল আগেই এখানে স্থান নিশ্চিত করেছে।
সেমিফাইনালসে মুখোমুখি হবে সর্বমোট ৮ দল। সেখান থেকে ফাইনালসে যাবে ৪ দল। এই ৪ দলের মধ্যে বিজয়ী দুটি দল খেলবে এমএলএস কাপের ফাইনাল। যেখানে সিঙ্গেল লেগে জয়ী দল জিতবে লিগ শিরোপা।
মূলত এটি একটি বেশ দীর্ঘ এবং জটিল প্রক্রিয়া। ইউরোপিয়ান ফুটবলে মৌসুমের তুলনায় যা পুরোপুরি ভিন্ন এক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়।
লিগ কাপ:
এছাড়া চালু আছে লিগ কাপ নামের অন্য এক প্রতিযোগিতা। যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার, মেক্সিকোর এমএক্স লিগ এবং কানাডার ঘরোয়া লিগের মোট ৪৭টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। এখান থেকে শীর্ষ তিন দল সরাসরি কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নিবে।
ইউএস ওপেন কাপ:
যুক্তরাষ্ট্রের ঘরোয়া লিগে সব দল নিয়ে আয়োজন করা হয় ইউএস ওপেন কাপ। লিগের সব দলের অংশগ্রহণে নকআউট পদ্ধতিতে আয়োজন করা হয় এই প্রতিযোগিতা। বর্তমানে এই প্রতিযোগিতার সেমিফাইনালে আছে ইন্টার মিয়ামি। যুক্তরাষ্ট্রে মেসির প্রথম শিরোপা হতে পারে এই ইউএস ওপেন কাপ।