ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

রেল যোগাযোগ বিপর্যস্ত যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১৩:৩৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৪ বার


রেল যোগাযোগ বিপর্যস্ত যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ

দিন পেরোতে না পেরোতেই আবার ট্রেন লাইনচ্যুত! বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনের বাইরে যাত্রীভর্তি পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। লাইনচ্যুত সাতটি বগিসহ প্রায় দেড়শ গজ লাইন ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে সারা দেশের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ ছিল প্রায় ১৩ ঘণ্টা। কমলাপুরসহ বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে যাত্রী, মালবাহী এবং স্পেশাল ভেজিটেবল ট্রেন। চরম দুর্ভোগে থাকা যাত্রীদের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছিল। এই দীর্ঘ সময়ে খাবার, পানি, বিশ্রাম, টয়লেটসহ নানা সমস্যায় নারী-পুরুষ-শিশু যাত্রীদের দুর্ভোগ ছিল অসহনীয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৯টায় কমলাপুর স্টেশনসংলগ্ন গোপীবাগ এলাকায় আরেকটি যাত্রীবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। এতে ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল ৭-৮ ঘণ্টা। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। রেলওয়ে ডিটিও খায়রুল কবিরকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামী তিন দিনের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে দুর্ঘটনায় পঞ্চগড়, ব্রহ্মপুত্র ও এগারসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে রেলের যাত্রী সুরক্ষা ব্যবস্থা। লাইনচ্যুত পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে যাত্রী ছিলেন প্রায় পৌনে ৯০০। সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, পাঁচ কিলোমিটার গতি নিয়ে চলা অবস্থায় ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়েছে। অর্থাৎ জরাজীর্ণ রেললাইন পেরোতেই পরপর তিনটি স্থানে লোহার পাত ভেঙে যায়। একই সঙ্গে লাইনের পাশে থাকা চারটি পয়েন্ট বক্স দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে। গতি বেশি থাকলে এমন দুর্ঘটনা ভয়াবহ হতো-প্রাণহানিসহ ক্ষয়ক্ষতিও ব্যাপক হতো। এ প্রসঙ্গে রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী যুগান্তরকে বলেন, কমলাপুর থেকে ট্রেনটি ছাড়ার এক দেড় মিনিটের মধ্যেই লাইনচ্যুত হয়। ওই ট্রেনটি ছিল ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া সর্বশেষ ট্রেন। স্টেশনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ফলে উদ্ধার কাজও খুব কৌশলে করতে হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ট্রেন চলাচল শুরু করা হয়। ভোর থেকেই ঘটনাস্থলে আছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, দুর্ঘটনায় কোনো যাত্রী হতাহত হয়নি।

কমলাপুর স্টেশনে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার ভোর থেকেই প্লাটফর্মগুলোতে যাত্রীদের ভিড়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাতটি প্লাটফর্ম ভরে উঠে সব বয়সি যাত্রীদের উপস্থিতিতে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার সকাল পৌনে ১১টা পর্যন্ত প্রায় ১১ ঘণ্টা সারা দেশ থেকে কোনো ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশ করতে পারেনি। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত প্রায় ৩৪টি ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছার কথা ছিল। এসব ট্রেনের কোনোটিই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্টেশনে প্রবেশ করতে পারেনি। এসব ট্রেন বিমানবন্দরসহ দেশের বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। এতে করে রাজধানীতে পৌঁছা যাত্রীরা আটকা পড়া ট্রেনগুলোতে চরম দুর্ভোগের শিকার হন। অপরদিকে যেসব ট্রেন কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছে যথাসময়ে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা-সেগুলোর কোনোটিই ছেড়ে যায়নি। এতে করে কমলাপুর স্টেশনে আটকা পড়ে শত শত যাত্রী।

কমলাপুর স্টেশনে আটকা পড়া যাত্রীদের অনেককেই বিক্ষোভ করতেও দেখা গেছে। ওই সময় অসহায় অবস্থায় দেখা যায় কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার, মাস্টারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। অনেক যাত্রী টিকিট ফেরত দিয়ে স্টেশন ত্যাগ করছিলেন। কেউ চিৎকার করে আওয়ামী সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতির কথা বলছিলেন। নতুন লাইন তৈরি, নতুন ট্রেন ক্রয়ে কোটি কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ-বাস্তবায়ন করা হলেও চলমান রেলপথ জরাজীর্ণই রয়ে গেছে। শুক্রবার বেলা ২টার দিকে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজারের রুমে শতাধিক বিক্ষুব্ধ যাত্রী ঢুকে পড়েন। তারা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন-আমাদের কী দোষ, কেন আমরা ১০-১৫ ঘণ্টা স্টেশনে বসে থাকব। কেউ তো এক গ্লাস পানিও দেয়নি। কেন জরাজীর্ণ লাইন থাকবে। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা কোথায়?

সরেজমিন দেখা যায়, পুরো স্টেশন ঘিরে থাকা যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। ঢাকা থেকে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী জুয়েল হায়দার জানান, তিনিসহ তার পরিবারের পাঁচজন স্টেশনে এসেছেন ভোরে। ট্রেনটি ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এখন বাজে দুপুর আড়াইটা। ট্রেনের খবরই নেই। একই দুর্ভোগের কথা বলেছেন বহু যাত্রী। সংশ্লিষ্টরা জানান, ধূমকেতু এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কক্সবাজার পর্যটন এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতী, রংপুর এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, তিতাস, কর্ণফুলী, মহুয়া, নীলসাগর, বুড়িমারি, উপবন, যমুনাসহ প্রায় ৪০টি আন্তঃনগর ও কমিউটার ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। এ ছাড়া মেইল, লোকাল ট্রেন বিভিন্ন স্টেশন আউট লাইনে ফেলে রাখা হয়েছে।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার যুগান্তরকে বলেন, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনায় শিডিউল বিপর্যয় হচ্ছে। আগামী এক-দুই দিনের মধ্যে পুরোপুরি শিডিউল ঠিক হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকাল ১১টা পর্যন্ত কোনো ট্রেনই কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশ করতে পারেনি। এতে করে ওই সময়ের মধ্যে কমলাপুর স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছাড়া সম্ভব হয়নি। তবে আমরা সকাল ১১টার পর এক এক করে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন ছাড়তে শুরু করি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ট্রেনের বিলম্বও বাড়তে থাকে। বিক্ষুব্ধ শত শত যাত্রী বারবার স্টেশন ম্যানেজার-মাস্টার রুমে প্রবেশ করে প্রতিবাদ জানাচ্ছিলেন। আমরা তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ ছাড়া আর কিছুই করতে পারছিলাম না। তিনি বলেন, কমলাপুর স্টেশন হয়ে প্রতিদিন ৪২ জোড়া আন্তঃনগর এবং ৫০ জোড়া মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলাচল করে। অর্থাৎ ১৮২টি ট্রেন চলে কমলাপুর স্টেশন হয়ে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর এক কর্মকর্তা বলেন, লাইনের অবস্থা খুবই খারাপ। ২-১ দিন পরপরই লাইনচ্যুত-দুর্ঘটনা ঘটছে। লাইন সংস্কারে কারও নজর নেই। সাধারণ যাত্রীরা যদি ক্ষেপে যায়, বিক্ষোভ শুরু করে তাহলে সংশ্লিষ্টরা পালানোর সুযোগ পাবে না। এমন পরিস্থিতিতে নিজে আতঙ্কে থাকেন জানিয়ে তিনি বলেন, এক একটি দুর্ঘটনায় বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। যাত্রীরা টিকিট ফেরত দিয়ে সমপরিমাণ টাকা নিয়ে যান। এতে করে রেলের অনেক আয় বঞ্চিত হয়। অপর দিকে মেরামতের নামে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা লুটপাট করেন।

লাইনচ্যুত এলাকায় সরেজমিন ঘুরে ভয়াবহ চিত্র চোখে পড়েছে। কমলাপুর স্টেশন থেকে মাত্র ১ মিনিট দূরত্বে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। লাইনচ্যুত এলাকাটি পয়েন্ট ঘেরা। প্রায় ১৮টি লাইন রয়েছে পয়েন্ট এলাকায়। মাঝের পয়েন্ট লাইন পেরিয়ে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছুটে যাওয়ার মুহূর্তেই দুর্ঘটনা ঘটে। লাইন পরিবর্তনে ব্যবহৃত পয়েন্ট বক্স এবং লোহার পাতগুলো ছিল একেবারেই জরাজীর্ণ-মরিচা ধরা। যে অংশের তিনটি স্থানে লাইন ভেঙে যায়, সেই ভাঙা অংশগুলো লাইনের পাশে রাখা হয়েছে। দেখা যায়, মরিচা ধরে একেবারেই পাতলা হয়ে আছে পাতগুলো। প্রায় ২০০ গজ লাইনে স্লিপার, প্লেট ভেঙে আছে। একই সঙ্গে যে অংশগুলো ‘ভালো’ রয়েছে সেগুলোতে যথাযথ নেই নাট-বল্টু, প্লেট। যেগুলোতে রয়েছে-সেগুলো মরিচা পড়ে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে রয়েছে।

শুক্রবার ভোর থেকেই শ্রমিকরা পুরো দমে উদ্ধার কাজ করছিল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভাঙা লাইন মেরামত করছি। জরাজীর্ণ লাইন, নাট-বল্টু, প্লেট বাধ্য হয়েই লাগাচ্ছি। কোনো যন্ত্রাংশই নতুন পাওয়া যাচ্ছে না। নিয়ম অনুযায়ী মেরামত কাজে নতুন যন্ত্রাংশ লাগানো। আমরা শুধু নির্দেশনা অনুযায়ী কোনোমতে জোড়াতালি দিয়ে লাইন মেরামত করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাঠে থাকা এক প্রকৌশলী বলেন, ‘কমলাপুর স্টেশন দেশের সবচেয়ে বড় স্টেশন। এ স্টেশনসংলগ্ন লাইন যদি এমন জরাজীর্ণ হয় তাহলে খুব সহজেই বুঝা যায় সারা দেশের লাইনগুলো কী পরিমাণ জরাজীর্ণ। স্টেশন এলাকার প্রতিটি লাইনেই নাট-বল্টু, প্লেটসহ স্লিপার নড়বড়ে। নতুন সরকারে দায়িত্ব পাওয়া রেলের উপদেষ্টা-সচিব খানিকটা লাইন ধরে হাঁটলেই বুঝতে পারবেন রেলের বর্তমান নিঃস্ব অবস্থা।

চারটি পয়েন্ট বক্স দুমড়ে-মুড়চে পড়ে আছে লাইন ঘেঁষে। রেলের অপটিক্যাল দপ্তরে কাজ করা অপর একজন বলেন, যে লাইন ভেঙে পড়েছে, তা আরও অনেক আগেই ভেঙে পড়ার কথা। মরিচা ধরে একেবারেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ছিল লাইনগুলো। লাইন সংস্কার কাজে যে সব প্রকৌশলী রয়েছেন, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা জরুরি। এ পয়েন্ট এলাকা দিয়ে ৮ থেকে ১০ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এ পয়েন্ট এলাকাটি কখনোই যথাযথ মেরামত করা হয়নি। কিছু দিন পরপরই পয়েন্ট এলাকায় ট্রেন লাইনচ্যুত-দুর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যেসব পদে (রেললাইন) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে-এদের অধিকাংশ দায়িত্ব পালন না করে বেতন তুলে খাচ্ছে। এসব দেখভাল করার জন্য যাদের দায়িত্ব তারাও ভালোমতো তা দেখে না।

এদিকে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টায় কমলাপুর স্টেশনে দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন যুগান্তরকে বলেন, দুর্ঘটনায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস-৭৯৩, ব্রহ্মপুত্র ও এগারসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এসব ট্রেনের টিকিটধারী যাত্রীরা টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, কিছু ট্রেন এখনো কমলাপুর স্টেশনে আসেনি। এসব ট্রেন ১২ থেকে ১৫ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে চলাচল করবে। আমরা আশা করছি আগামী দুদিনের মধ্যেই শিডিউল ঠিক করতে পারব।

সবজি ট্রেন আটকা : এদিকে গাজীপুর দক্ষিণ প্রতিনিধি সাব্বির আহমেদ সুবীর জানান, এ দুর্ঘটনায় টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে স্পেশাল ভেজিটেবল ট্রেনটি বৃহস্পতিবার রাত ২টার পর থেকে আটকা পড়ে। শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত ট্রেনটি আটকে ছিল। এতে করে ট্রেনের ভেতরে থাকা মাছসহ শাক-সবজি এক প্রকার নষ্ট হয়ে পড়ে। পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা সবজিবাহী স্পেশাল ভেজিটেবল ট্রেনটি পঞ্চগড়ের প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে সবজি সংগ্রহ করে রাজধানীর তেজগাঁও পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীদের এসব সবজি গত দুদিন যাবৎ জোগান দিয়ে আসছিল। হঠাৎ দুর্ঘটনায় তিন দিনের মাথায় এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে স্পেশাল ভেজিটেবল ট্রেনটি। টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার ইমরান হাসান জানান, ঢাকার সমস্যার সমাধান না হলে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে আটকা থাকা স্পেশাল ভেজিটেবল ট্রেনটি ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে না।

 

 


   আরও সংবাদ