ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ ১০:১১ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ২১ বার
‘নৈতিক স্খলন’ ও ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’র কারণে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত। একই সাথে সমস্যা সমাধাণে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠনের আগে রাষ্ট্রপতি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৬ অনুযায়ী। অন্তর্র্বতী সরকারও এখন রাষ্ট্রপতিকে অপসারণ এবং তারপর কী করতে হবে -- এ নিয়ে সর্বোচ্চ আদালতের পরামর্শ নিতে পারে’ বলে মনে করে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন আহ্বায়ক এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি ঘিরে যা হচ্ছে, তা অনাকাঙ্ক্ষিত। এখনকার এজেন্ডা হওয়া উচিত ছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ। এখন এমন কোনো সংকট সৃষ্টি করা উচিত হবে না, যা অন্তর্র্বতী সরকারের কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে এবং নির্বাচনের পথকে দীর্ঘায়িত করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময় জাতির উদ্দেশ্যে গনমাধ্যমে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি বলেন, তিনি শুনেছেন কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনও দালিলিক প্রমাণ নেই। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের গোপনীয়তা রক্ষার যে শপথ নিয়েছিলেন তা ভঙ্গ করেছেন। তিনি শপথ রক্ষা করতে পারেননি। রাষ্ট্রপতির শপথ থেকে বিচ্যুৎ হয়েছেন। রাষ্ট্রপতির এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে তার নৈতিক স্খলন ঘটেছে। তাই তার আর রাষ্ট্রপতির পদে থাকা উচিত নয়। তাই তার ‘ডকট্রিন অব নেসেসিটি’ (প্রয়োজনীয়তার মতবাদ) অনুযায়ী পদত্যাগ করা উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর ‘আইন ও সংবিধানের’ বিষয়টিই গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। ফলে ‘ৎনআকাঙ্খার’ আলোকে রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে অন্য কাউকে সে পদে বসাতে চাইলে সেটি অসম্ভব কিছু নয়। যদিও সরকার পরিবর্তনের পর দেশের সংবিধান স্থগিত করা হয়নি। রাষ্ট্রপতি স্বেচ্ছায় চলে গেলে সাংবিধানিক কোনো সমস্যা নেই।’
সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা সাহিদুল আলম খান, মো. সুমন মিয়া, শ্রমিক নেতা আবদুর রহমান, আবদুল হালিম, কৃষক নেতা তাইজুদ্দিন ফকির, আব্বাস আলম, মো. আকরামুল হক, মো. হাসিবুর রহমান প্রমুখ।