ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৬ নভেম্বর, ২০২৪ ১৮:০৮ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৭ বার
ঢাকা: সব গ্রাহককে ব্যাংক থেকে একসঙ্গে টাকা না তুলতে অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হোসনে আরা শিখা বলেছেন, সব গ্রাহক একসঙ্গে ব্যাংকে টাকা তুলতে হুমড়ি খেয়ে পড়ার কারণে কিছু ব্যাংক টাকা দিতে পারছে না। কোনো দেশের ব্যাংকই দিতে পারে না।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন। ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী ও সাঈদা খানম।
ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে ওভার ইনভয়েস ও আন্ডার ইন ভয়েসের মাধ্যমে প্রতি মাসে প্রায় দেড় বিলিয়ন করে টাকা পাচার হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে এমন তথ্য বের হয়ে এসেছে। এসব পাচারকারীর নাম না প্রকাশ করার কারণে টাকা পাচার থামছে না।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে ঢালাওভাবে নাম প্রকাশ করা সম্ভব না। পাশাপাশি পাচার হয়ে যাওয়া টাকা ফেরত আনতে যেসব কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে, আগেই নাম প্রকাশ করা হলে টাকা ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে টাকা পাচারকারীর নাম প্রকাশ করা হয় না, এটাও একটি কারণ।
সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে হোসনে আরা শিখা বলেন, নির্দিষ্ট কিছু দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে আইনজীবী ও পরামর্শক নিয়োগ সম্পূর্ণ হয়েছে।
তিনি বলেন, যেসব রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের হিসাব জব্দ করা হয়েছে, সেইসব হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করছে। তদন্ত শুরু থেকে সাত মাসের মধ্যে যে কোনোভাবেই হোক শেষ করতে হবে।
শিল্প গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক স্বপ্রণোদিত হয়ে কোনো শিল্পপ্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ করছে না, করবে না। তবে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক একটি শিল্প গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বা করবে। এর বাইরে কোনো শিল্প গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ করা হচ্ছে না।
মুখপাত্র আরও বলেন, যেসব ব্যাংকের কাছে যথেষ্ট তারল্য রয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দিষ্ট নীতিমালার ভিত্তিতে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলোকে তারল্য সুবিধা দেওয়া দিচ্ছে। কিন্তু তারল্য সমস্যায় থাকা ব্যাংকগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী তারল্য সুবিধা পাচ্ছে না। ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে এ বিষয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা করেছে। যে পদ্ধতি অনুসরণ করলে তারল্য সংকটে থাকা ব্যাংকগুলো প্রত্যাশা অনুযায়ী তারল্য পাবে, বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক বিবেচনা করছে।