ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:০৪ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৯ বার
কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, শিক্ষার্থীরা কথায় কথায় রাস্তায় নেমে যাচ্ছে, ভাঙচুর করছে। এর বড় কারণ বর্তমানে ছাত্রদের নেতৃত্ব দেওয়ার কেউ নেই।
একসময় ছাত্রসংগঠনগুলো শক্তিশালী ছিল। ছাত্ররা এই সংগঠনের মাধ্যমে তাদের ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখাত। এখন ছাত্রসংসদও নেই। কার্যকর ছাত্রসংসদ থাকলে শিক্ষার্থীরা এর মধ্য দিয়ে তাদের বক্তব্যগুলো প্রকাশ করতে পারত। ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখাতে পারত। ছাত্রসংসদের নেতারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও ছাত্রদের যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারত। কিন্তু এখন ছাত্রদের সামনে সেই সুযোগগুলো নেই।
বাংলাদেশ যখন প্রতিষ্ঠা হয় তখন কিন্তু এমন ছিল না। ১৯৯১ সালের পর যখন আমরা গণতন্ত্রের মধ্যে এসেছি, তখন থেকেই ছাত্রসংগঠন ও ছাত্রসংসদ নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। অথচ ছাত্রসংসদ একটি নির্বাচিত সংসদ। ছাত্ররাই তাদের ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করে। ফলে তারা ওই নির্বাচিত সংসদে তাদের সমস্যা নিয়ে যেতে পারে।
এ ছাড়া আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে— সহিষ্ণুতার অভাব। এর বড় কারণ গত ১৬ বছরের একদলীয় শাসন। এই সময়ে মত প্রকাশের বা কথা বলার স্বাধীনতা ছিল না। অনেকটা স্বৈরশাসনের সংস্কৃতি ছিল। আর এই সময়ে তাদের যে ছাত্রসংগঠন ছিল তা হিংস্র হয়ে পড়ে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে উত্তরণে তিনটি বিষয় খুবই প্রয়োজন। প্রথমত, আমাদের দেশে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন হওয়াটা খুব জরুরি। যাতে তাদের রাস্তায় নামতে না হয়। তারা ছাত্রসংসদের মাধ্যমে তাদের মতামত প্রকাশ করতে পারে। আর তৃতীয় যে বিষয়টি দরকার তা হচ্ছে, ছাত্রসংগঠনগুলো শক্তিশালী হওয়া। তবে ছাত্রসংগঠন এমন হতে হবে, তারা যেন ক্ষমতাসীন দলের লেজুড়বৃত্তি না করে। সেটা মোটেও বাঞ্ছনীয় না। আর এগুলোর মধ্য দিয়েই ছাত্ররা তাদের গণতান্ত্রিক ও সাংস্কৃতিক মতামত প্রকাশ করতে পারবে।
লেখক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক।
অনুলিখন : শরীফুল আলম সুমন