ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:০৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৪ বার
জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনে এক যাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে স্টেশনের হেড বুকিং সহকারী মনিরুল করিম মুনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী যাত্রী আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জয়পুরহাট জেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে কর্মরত।
ঘটনাটি যেভাবে ঘটেছে
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আব্দুর রাজ্জাক পাবনা যাওয়ার জন্য দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতে জয়পুরহাট রেলস্টেশনের কাউন্টারে যান। টিকিটের মূল্য পরিশোধের সময় তিনি দুইশ টাকা দেন, কিন্তু কাউন্টার থেকে খুচরা টাকা দিতে বলা হয়। যাত্রী খুচরা টাকা দিতে না পারায় বিষয়টি নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
একপর্যায়ে হেড বুকিং সহকারী মনিরুল করিম কাউন্টার থেকে বেরিয়ে এসে যাত্রী আব্দুর রাজ্জাককে ধাক্কা দেন। এরপর তাদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। অভিযোগ অনুযায়ী, পরে মনিরুল করিম ওই যাত্রীকে টেনে-হেঁচড়ে স্টেশন মাস্টারের রুমে নিয়ে গিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এতে যাত্রীর শার্ট ছিঁড়ে যায়। পরে রেলওয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে আলাদা করেন। পরবর্তীতে মনিরুল করিম মুন ঘটনাস্থলেই ভুল স্বীকার করে যাত্রীর কাছে ক্ষমা চান।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ
যাত্রী আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ বলেন,
> “টিকিট কাটাকে কেন্দ্র করে স্টেশনের হেড বুকিং সহকারী মনিরুল করিম মুন আমাকে টেনে অফিসে নিয়ে গিয়ে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করেছে। আমার শার্ট ছিঁড়ে গেছে। পরে সাংবাদিকরা আসলে সে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়। সে স্থানীয় হওয়ায় দাম্ভিক আচরণ করে, মানুষকে মানুষ মনে করে না। আমি চাই, তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
অভিযুক্তের বক্তব্য
অন্যদিকে, মনিরুল করিম মুন বলেন,
> “খুচরা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির সময় ওই যাত্রী আমাকে গালিগালাজ করে। আমি তাকে টেনে আনিনি, বরং সে আমার হাত ধরতে গেলে ধস্তাধস্তি হয়। পরে সবার উপস্থিতিতে বিষয়টি মিমাংসা হয়েছে।”
রেল কর্তৃপক্ষের অবস্থান
জয়পুরহাট রেলস্টেশনের মাস্টার রফিক চৌধুরী বলেন,
> “যাত্রী ও কর্মচারীর মধ্যে কথাকাটাকাটির খবর শুনেছি। ধাক্কাধাক্কি বা মারধরের ঘটনা যদি ঘটে থাকে, তা সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ। মুন যাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছে।”
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ বলেন,
> “সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এ ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। আচরণবিধি অনুযায়ী চলতে হবে। লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
.jpg)
