ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:০০ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৬ বার
মাথার এক পাশ ভেদ করে গুলি বের হয়ে মুহূর্তে পুরো শরীরকে নিথর করে দিয়েছিল, চিকিৎসরা বাঁচার কোনো আশাই দেখাননি। তবুও প্রায় অসম্ভব পরিস্থিতিকে জয় করে বেঁচে ফেরেন মালালা ইউসুফজাই। ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর এমনই এক প্রাণঘাতী হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি। কেবল বেঁচে যাওয়াই নয়, পরবর্তীতে তিনি নারী শিক্ষার অধিকার ও সচেতনতার ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী প্রতীকী চিহ্ন হয়ে ওঠেন এবং শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান, যা তাকে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ নোবেলজয়ীর মর্যাদা এনে দেয়।
ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের সোয়াত উপত্যকায়। ১৫ বছর বয়সী মালালা তার বন্ধুদের সঙ্গে বাসে চেপে স্কুলে যাচ্ছিলেন, ঠিক তেমনই একটি সাধারণ সকালের মতো। হঠাৎ তালেবানের এক বন্দুকধারী বাসে উঠে মালালার দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিটি তার মাথায় প্রবেশ করে এবং কানের পাশ দিয়ে মস্তিষ্কের অত্যন্ত সংবেদনশীল অংশে আঘাত হানতে পারত। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল যে, প্রথম কয়েক ঘণ্টা তার জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে কি না, তা নিয়েই সন্দেহ ছিল। হামলার সময় মালালার সঙ্গে থাকা দুই বন্ধু কাইনাত রিয়াজ এবং শাজিয়া রমজানও আহত হন।
মালালাকে দ্রুত পেশোয়ারের একটি সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর তার অবস্থা চরম সংকটাপন্ন ছিল। সেনা নিউরোসার্জন কর্নেল জুনায়েদ খান তাকে পরীক্ষা করেন এবং পেয়েছিলেন যে, তার অবস্থা অস্থিতিশীল। চার ঘণ্টার মধ্যেই মস্তিষ্কে ফোলা বেড়ে যাওয়ায় তার জীবন-হুমকি আরও জোরালো হয়। এই মুহূর্তে জরুরি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।