ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

শৈলকুপার এক কলেজ থেকে ৫ জন পেল মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬০৬ বার


শৈলকুপার এক কলেজ থেকে ৫ জন পেল মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ

জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ- ঝিনাইদহের শৈলকুপার শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজ থেকে এবার ৫ জন শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। এ নিয়ে বেশ উচ্ছাসিত কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজ থেকে বিভিন্ন মেডিকেলে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জন মেয়ে ও একজন ছেলে রয়েছে।

এদের মধ্যে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর উপজেলার শৈলডুবি গ্রামের বেলায়েত হোসেনের মেয়ে মাহমুদা খাতুন হবিগঞ্জ ও কুষ্টিয়ার চর শান্তিডাঙ্গা গ্রামের গোলাম রসুলের মেয়ে সাদিয়া সুলতানা ইমু জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। শৈলকুপার আনন্দনগর গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসি আরশি পাবনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।

শৈলকুপার শেখপাড়া গ্রামের নিপেন্দ্রনাথ কুন্ডুর মেয়ে অহনা নন্দি রিংকি ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন নেয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে। শৈলকুপার সাধুখালী গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে সোহানুর রহমান সুযোগ পেয়েছেন চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া দুঃখী মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আরশি বলেন, খুবই আনন্দ লাগছে। ছোটকালের অনেক ইচ্ছা আর স্বপ্ন যেনো আজ বাস্তবে ধরা দিয়েছে। মেডিকেলে সুযোগ পাওয়ার পেছনে কলেজ শিক্ষক ও টিউটর শিক্ষকের কৃতিত্ব দেন মাহমুদা। জামালপুর শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে সুযোগ পাওয়া  সাদিয়া সুলতানা ইমু জানান, সাফল্যের এই রাস্তাটি দীর্ঘ এবং খবুই কষ্টকর ছিলো।

অবশেষে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তিনি এই সাফল্যের পেছনে পিতা-মাতা ও শিক্ষকদের পরিশ্রম কাজ করেছে। ৫ শিক্ষার্থী তাদের সাফল্যের পেছনে কলেজ শিক্ষক ও অভিভাবকদের কৃতিত্ব দেন। শেখপাড়া বাজারের বাসিন্দা রানা আহম্মেদ অভি জানান, তাদের এলাকার কলেজ থেকে একবারে ৫ শিক্ষার্থীরা মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় গ্রামবাসি খুবই আনন্দিত।

এই সাফল্যে শিক্ষকদের পাশাপাশি তারাও গর্বিত। দুঃখি মাহমুদ কলেজের সাহযোগী অধ্যাপক আরশাফুল ইসলাম বলেন, মেডিকেলে ৫ জনের সুযোগ পাওয়ার খবরে আমরা আশান্বিত। সামনের বছরে এই সংখ্যা বৃদ্ধিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কলেজ অধ্যক্ষ আসাদুর রহমান শাহিন বলেন, একটা গ্রামীণ পরিবশে থেকে এক সঙ্গে ৫ জন শিক্ষার্থীর মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ নিঃসন্দেহে গৌরব ও আনন্দের বিষয়।

তিনি বলেন আমরা বিজ্ঞানের ছাত্রদের মেধা বিকাশে যত্নবান। ২০১৭ সালেও এই কলেজ থেকে ২ জন মেডিকেলে চান্স পেয়েছিল। অধ্যক্ষ বলেন শুধু মেডিকেল নয় দেশের যে কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দুঃখি মাহমুদ কলেজ থেকে অনেক ছাত্র ছাত্রী ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এই সাফল্যে তিনি গর্বিত বলে উল্লেখ করেন।


   আরও সংবাদ