নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭১৯ বার
মামুন খাঁন, ক্রাইম প্রতিবেদক: চট্টগ্রাম কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা গ্রামের মোহাম্মদ রাজ্জাক পিন্টু (২৬) নামক এক কিশোর গ্যাং লিডারের ইয়াবা ও বিদেশী হুইস্কি সেবনের কিছু স্থির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে তিনি তাঁর বন্ধুদের সাথে খোলা মাঠে ঘাসের উপর বসে নিজের হাতে ইয়াবা সেবন করছেন।
আরো দেখা যায়, এক বন্ধু তাকে সানলাইট লাইটার দিয়ে ইয়াবা সেবনে সাহায্য করছেন। সামনে রয়েছে ইয়াবা সেবনের সরন্জামাদি ও বিদেশী হুইস্কির বোতল। তার পাশেই বসে ঐ সদস্য সে দৃশ্য উপভোগ করছেন। নিজের ফেসবুক আইডির হিস্ট্রির মাধ্যমে অনাকাঙ্খিত ভাবে এসব ছবি ছড়িয়ে পড়লে কর্ণফুলীর সর্বত্রই তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
পাশাপাশি এ ঘটনায় স্থানীয় যুবকদের মধ্যেও ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। কেননা, সরকার যেখানে মাদকের উপর জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে একাধিক মাদক ব্যবসায়িকে ক্রসফায়ার দিয়েছেন। সেখানে প্রকাশ্যে পিন্টুর ইয়াবা সেবন করে সরকারের সিদ্ধান্ত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাচ্ছেন।
জানা যায়, এই বখাটে কিশোর শিকলবাহা ইউনিয়নের হাজী সুলতান আহমেদ বাড়ির মোহাম্মদ পেয়ারের ছেলে।
এছাড়াও এই কিশোর গ্যাং নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি এলাকায় নানা অপরাধের সাথে জড়িত। এমনকি অতীতে শিকলবাহা পিডিবি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ল্যাপটপ চুরি ও খুইদ্যারটেকে মারামারির ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। বর্তমানে তিনি স্থানীয় যুবলীগ নেতা সেকান্দর হোসেন রানার অনুসারী বলে জানা যায়।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে শিকলবাহা সামাজিক সংগঠনের নেতা মোঃ আনিস বলেন, ‘মাদকমুক্ত দেশ গড়তে আমরা সকলে অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু সমাজ থেকে এই ব্যাধি দূর করতে কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। আর এই প্রচেষ্টা তখনই সফল হবে, যখন প্রত্যেকটা কিশোর মাদক থেকে দূরে থাকবেন। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের বিষয়টি আমলে নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে আমি মনে করি।’
এ বিষয়ে মোহাম্মদ রাজ্জাক পিন্টু (২৬) এর সাথে কথা বলতে ফোন করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ইয়াবা সেবনের কথা জানতে চাইলে বিষয়টি অস্বীকার করে রং নাম্বার বলে ফোন লাইন কেটে দেন তিনি। আর ফোন রিসিভ করেননি।
এ প্রসঙ্গে বিষয়টি অবগত করে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ওসি মোঃ দুলাল মাহমুদ জানান, ‘আমি ঘটনাটি আপনার কাছ থেকে শুনেছি এবং ছবি দেখে খোঁজখবর নিয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ সমাজকে মাদকমুক্ত করতে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।’