ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ঝিনাইদহে হত্যা মামলাকে পুঁজি করে চলছে চাঁদাবাজি ও লুটপাট

নিজস্ব প্রতিবেদক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৭৬ বার


ঝিনাইদহে হত্যা মামলাকে পুঁজি করে চলছে চাঁদাবাজি ও লুটপাট

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাকা গ্রামের অসহায় বিশারত আলী। ৩ প্রতিবন্ধী সন্তান নিয়ে জীর্ণশীর্ণ ঘরে বসবাস করে তার পরিবার। নিজে অন্যের জমিতে দিনমজুরের কাজ আর বাড়িতে প্রতিবন্ধী সন্তানদের সহযোগিতায় গরু লালন-পালন করে তার স্ত্রী। যা দিয়ে কোন রকম চলে তার সংসার। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একই গ্রামের অন্যপাড়ায় মারামারিতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আহত ইমরান।

এর পর ওই বাড়িসহ বেশকিছু বাড়িতে হামলা চালায় নিহতের পরিবার ও দলীয় সমর্থকরা। জানেন না কিছু, ছিল না ঘটনার সময়। তারপরও প্রতিবন্ধীদের এই বাড়ি থেকে লুট করে নিয়ে যায় আড়াই লাখ টাকা দামের ৩ টি গরু। গরু না থাকায় শুন্য তার গোয়াল। চাঁদা নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। যারা চাঁদা দেয়নি তাদের উঠতে দেওয়া হচ্ছে না বাড়িতে বলেও রয়েছে অভিযোগ। জানা যায়, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শালিসী বৈঠকে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে মারামারি। মারামারিতে আহত হয় পাকা গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে ইমরান হোসেন।

পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ দিন পর ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যায় সে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে পুলিশ ৩ জন আসামীকেই গ্রেফতার করে। আসামী গ্রেফতার হলেও হত্যাকে পুঁজি করে অসহায় পরিবারদের বাড়ি-ঘর লুটপাট করা হচ্ছে। নিয়ে যাওয়া হচ্ছে গরু, ছাগল। ভুক্তভোগি সেবেরা খাতুন ঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন, আমার পাগল ছেলে-মেয়ে গরুর পুষে বড় করছে। একটি গরু গাভিন ছিল।

আমরা কিছু জানিনে। আমাদের মত অসহায় পরিবারের গরুও নিয়ে গেল। আল্লাহ এর বিচার করবে। একই গ্রামের আমিরুল ইসলাম বলেন, ইমরান মারা যাওয়ার পর তার পিতা আব্দুল মালেক বানিজ্য শুরু করেছে। আব্দুল মালেক একই এলাকার জুয়েল, মান্নান, আছালত. তকব্বার, সাব্দাল, সাঈদসহ তার সমর্থকরা অসহায়দের উপর নির্যাতন করছে। বাড়িতে উঠতে হলে তাদের মোটা অংকের টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। তাদের অত্যাচারে এখনও বাড়ি ছাড়া পাকা গ্রামের শফিউদ্দিন, আলেক, বাদশা, মজিদ, ফরিদ, ভুট্টোসহ বেশ কয়েকজন।

এছাড়াও প্রায় ৫০ বিঘা জমি এখনও অনাবাদী রয়ে গেছে। আবাদ করতে দিচ্ছে না ওই পক্ষ। চাঁদাবাজির বিষয়টি অস্বীকার করেন মুল অভিযুক্ত আব্দুল মালেক বলেন, মার্ডারের পর কিছু গরু-বাছুর আমাদের লোকজন নিয়ে আসছিল। সেই সময়ই পুলিশের মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়েছে। চাঁদাবাজি করা হচেছ না। যারা বাড়িতে আসছেন না তারা বাড়িতে আসুক। তাদের কেউ কিছু বলবে না।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মুনতাসিরুল ইসলাম বলেন, ইমরান হত্যার ঘটনায় হত্যা মামলা হলে আসামীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। লুটপাট ও চাঁদাবাজির বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


   আরও সংবাদ