ঢাকা, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ঝিনাইদহে মিথ্যা মামলায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা!

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬১৩ বার


ঝিনাইদহে মিথ্যা মামলায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা!

স্টাফ রিপোর্টার- ঝিনাইদহে সৃজনী এনজিওর সাদা চেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা বসিয়ে মামলা করে যুবকের বিরুদ্ধে। সেই টাকা আদায় করতে বাকবিতন্ড হয় সৃজনী অফিসের মধ্যে। এঘটনার পর সবার সামনেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে খুলনা ডুমুরিয়া চুকনগর এলাকার রওশন গাজীর ছেলে ভুক্তভুগী আব্দুস ছাত্তার। এঘটনা জানাজানি হলে ঝিনাইদহ শহরজুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। আব্দুস ছাত্তারের শ্যালক আলামিন সাংবাদিকদের জানায় ঝিনাইদহ সৃজনী হেড অফিস থেকে আমার বোন জামায় সাত্তারকে ফোন করে টাকা নিয়ে অফিসে আসতে বলে।

অফিসে আসার পর সাদা চেকে মিথ্যা মামলা করে জোরপূর্বক টাকা আদায় করা নিয়ে সৃজনী এনজিওর চেয়ারম্যন হারুন-অর-রশিদের সাথে ছাত্তারের বাক বিতেন্ড হয়। এক পর্যায়ে হারুনের নেতৃত্বে ছাত্তারকে বেদম মারধর করা হয়। এসময় ছাত্তারকে জোরপূর্ব পয়জনিং জাতীয় কিছু খাওয়ায়। পরে সে গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে এনজিও কর্তৃপক্ষের লোকজন সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি বলেন আমি এঘটনায় সুষ্ট বিচার দাবী করছি। আব্দুল সাত্তার গাজীর স্ত্রী হোসনে আরা সাংবাদিকদের জানায় আমার স্বামীর সাদা চেক ও স্টাম্প জমা দিয়ে ২০১৩ সালে সৃজনীর চট্টগ্রাম শাখার লোহাগাড়া থানায় সৃজনী এনজিও প্রকল্পে আমার স্বামী চাকুরি করতো।

২০১৮ সালে প্রকল্প শেষ হওয়ায় প্রকল্পের মালামাল ব্যাটারি, ডোপ,প্যানেল ইত্যাদি সৃজনী এনজিওর চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে বাড়িতে চলে আসে। এর তিনমাস পর আমার স্বামীর নামে সেই সাদা চেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা বসিয়ে মামলা করে সৃজনী কর্তৃপক্ষ। গত ৬-৭ মাস আগে আমাদের বাড়িতে উকিল নোটিশ যায়। আব্দুস সাত্তার তখন ১২০,০০০ টাকা পরিশোধ করে। বাকি ৫০,০০০ টাকা আজ ৩রা এপ্রিল সোমবার সকালে হারুন অর রশিদকে দিয়ে আব্দুল সাত্তার গাজী বলে বাদ বাকি টাকা আমি আর দিতে পারব না।

একথা শুনে হারুন রেগে গিে নেতৃত্ব তার লোকজন দিয়ে অফিসের মধ্যেই আব্দুল সাত্তার গাজীকে বেদম মারপিট করে। সেসময় তাকে বিষ জাতীয় কিছু জোর পূর্বক খাওয়ায়। এতে ছাত্তার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে এনজিও কর্তৃপক্ষের জনৈক নাজমুল তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। বর্তমান তিনি সদর হাসপাতাল মেডিসিন ওয়ার্ডের বারান্দায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এদিকে সৃজনী এনজিও কর্তৃপক্ষ দাবি করে বলেন প্রকল্পের মালামাল তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

সেকারনে ছাত্তারের কাছে সাড়ে তিন লাখ টাকা পাওয়া যাবে। সেমোতাবেক আব্দুস ছাত্তার সাড়ে তিন লাখ টাকার একটি চেক দেই। সেই চেকের মাধ্যমে সৃজনী এনজিও কর্তৃপক্ষ তার নামে সাড় তিন লাখ টাকার মামলা করে। এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই এমদাদ তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে বলে জানায়।


   আরও সংবাদ