নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৭৩ বার
স্টাফ রিপোর্টার- সদ্য সরকারীকরণকৃত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রী কলেজে প্রেষনে অধ্যক্ষ নিয়োগে স্থানীয় সংসদ সদস্যের করা আবদার নাকচ করে দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ফলে ড. মাহবুবুর রহমানকেই বৈধ অধ্যক্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তার সাক্ষরে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা উত্তোলনের বিষয়টি সুরাহা করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কলেজ-৩) মোঃ আব্দুল কাদের সাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সুত্রে জানা গেছে, অধ্যক্ষ নিয়ে জটিলতা থাকায় চলতি বছরের ১ এপ্রিল কালীগঞ্জের সংসদ সদস্য মোঃ আনোয়ারুল আজিম আনার ডিও নং ৪/২০২১ চিঠিতে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা উত্তোলনের জন্য প্রেষনে একজন দক্ষ অধ্যক্ষ নিয়োগের জন্য শিক্ষা সচিবের কাছে আবেদন করেন। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত বিবেচনা করে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এমপির ওই চিঠি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠিয়ে দেন শিক্ষা সচিব।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তার দপ্তরের বিজ্ঞ আইন উপদেষ্টার মতামতের ভিত্তিতে কলেজের বৈধ অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের যৌথ সাক্ষরে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা উত্তোলন হবে মর্মে নির্দেশক্রমে চিঠি দেন, যার স্মারক নং ৩৭.০২.০০০০.১০৫.১৮.০০৩.২০.৩৫৩। শিক্ষা অধিদপ্তরের বিজ্ঞ আইন উপদেষ্টা তার মতামতে উল্লেখ করেন, “বর্ণিত কলেজটি নতুন জাতীয়করণ হয়েছে, কিন্তু শিক্ষক কর্মচারীগন এখনো এমপিওর আওতাভুক্ত।
কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রবখাস্ত হয়েছেন। পরবর্তীতে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং ১০৩২/২০১৬ রায় ও আদেশ এবং শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ৩১/০৭/২০১৯ ইং তারিখের পত্রের নির্দেশনার প্রেক্ষিতে স্বপদে পুর্নবহাল হয়েছেন। কিন্তু স্থানীয় প্রতিপক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কারণে কলেজে যোগদান ও দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ফলে এনেক্স কোর্টের সকল সিদ্ধান্ত ড. মাহবুবুর রহমানের পক্ষে এবং তিনিই সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা বিলে সাক্ষর করার বৈধ অধিকারী।
বিষয়টি নিয়ে মাহতাব উদ্দীন অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ ড. মাহবুবুর রহমান অভিযোগ করেন, তার যোগদান ঠেকাতে কলেজটির সাবেক সভাপতি সংসদ সদস্য মোঃ আনোয়ারুল আজিম আনার একাধিকবার উচ্চ আদালতের দারস্থ হন। কিন্তু তার সকল পক্রিয়া ব্যার্থ হয়। তিনি বলেন, দেশের উচ্চ আদালত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রনালয় ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তার পক্ষে রায় ও মতামত দিলেও তিনি কলেজে যেতে পারছেন না। ফলে সরকারী মাহতাব উদ্দীন অনার্স কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের ১১ মাসের বিতন ভাতা আটকে আছে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা বলেন, “মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো ওই চিঠি আমি এখনো হাতে পায়নি। তবে চিঠির কথা আমি লোকমুখে শুনেছি। চিঠি হাতে পেলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব“।