ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭২৯ বার
অপরাধ ডেস্ক: প্রতিবেশির বাড়িতে মাটিচাপা অবস্থায় ১০ বছরের এক কন্যা শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঘরের মেঝেতে গর্ত করে পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে শিশুর পরিবার ও এলাকাবাসী দাবি করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ এক নারীকে আটক করেছে। তবে ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত যুবক রাজা মিয়া পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বুজরুক সন্তোষপুর গ্রামে। নিহত ওই শিশুর নাম রহিমা খাতুন (১০)। সে উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের বুজরুক সন্তোষপুর গাছুয়াপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক রবিউল ইসলামের মেয়ে এবং স্থানীয় বুজর্গ সন্তোষপুর কারামতিয়া ফাজিল মাদ্রাসার এবতেদায়ী শাখার ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটি মায়ের কাছে দশ টাকা নিয়ে স্থানীয় বাজারে মুদি দোকানে যায়। এরপর আর ফিরে আসেনি। তার বাবা-মা বিভিন্নস্থানে অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান মেলেনি। পরদিন বৃহস্পতিবার গ্রামবাসী ও তার পরিবার রাজা মিয়া নামে এক যুবককে এলাকায় না পেয়ে তাকে সন্দেহ করে। এরপর তার বসতঘরে মেঝেতে গর্ত খোঁড়ার চিহ্ন দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। রংপুরের সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ ও ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজা মিয়ার ঘরের মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি- শিশুটির সর্ম্পকে ফুফাতো ভাই ও প্রতিবেশি শাহীন মিয়ার বখাটে ছেলে রাজা মিয়া (২০) ফুসলিয়ে তাকে বাড়িতে ডেকে নেয়। সেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটি চিৎকার শুরু করলে পাষন্ড রাজা মিয়া শ্বাসরোধে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে লাশ পুঁতে রাখে।
মিঠাপুকুর থানার ওসি আমিরুজ্জামান জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতককে ধরতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।