ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৬১ বার
স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর ৬৮/১/এ, দক্ষিন মুগদা, থানা: মুগদা ঠিকানায় মো: অনোয়ার হোসেন গং ৭ (সাত) তলা ভবন নির্মান করেছেন। নির্মিত ভবনটি অনিয়মে ভরা। ভবনটি চারপশে সেটব্যাক যতটুকু জমি ছেড়ে নির্মান করার নির্দেশনা রয়েছে তা ভঙ্গ করে নির্মিত হয়েছে। এত উুঁচু ভবনটির সেটব্যাক সন্মুখে ১.২৭/১.৬০ মি: পশ্চাতে ০.৯১ মি: ডানে ০.৫০/০.৯১ মি: বামে ১.১৫/১.১০ মি: রাখা হয়েছে। রাজউক থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। একটি সাত তলা উঁচু ভবনের সেটব্যাক চারপাশে অবশ্যই এত কম থাকার কথা নয়। রাজউক থেকে প্রদেয় তথ্যে আরও জানা গেছে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে উক্ত ইমারতে ভবন নির্মান সংক্রান্ত তথ্য বোর্ড পাওয়া যায় নি।
ইমারত মালিক রাজউক অনুমোদিত নকশা পরিদর্শনকালে দেখাতে পারেন নাই। রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী কোন ইমারত পরিদর্শক বা রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কোন ভবনে গিয়ে নকশা দেখতে চাইলে তা দেখানো বাধ্যতামূলক এবং এক নকশার এক কপি সাইটে সংরক্ষিত থাকতে হবে। এমতাবস্থায় ভবনটি রাজউক অনুমোদিত কি না তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে রাজউকের নিয়ম ভঙ্গ করে নির্মিত এই বহুতল ভবনটি ঝুঁকিবহুল ও যে কোন সময়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা আরও জানান রাজউকের আশ্রয় প্রশ্রয়ে ভবনটি অনিয়ম করে নির্মান করা হচ্ছে।
অনিয়মিত ভবনটির ব্যাপারে রাজউক থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে অপরাধ বিচিত্রার নামক পত্রিকা থেকে স্মারক নং ৬০/অ:বি:/২০২০ তারিখ ০১-১২-২০২০ ইং এর মাধ্যমে রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর লিখিতভাবে অনুরোধ করা হয়। উক্ত পত্রের এক কপি ইমারত পরিদর্শক বাসুদেব ভট্রাচার্জ্যকে দেওয়া হয়। পত্রটির কপি অপরাধ চোখের হস্তগত হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৭ (সাত) মাস অতিক্রম হওয়ার পরও রাজউক থেকে অপরাধ বিচিত্রাকে এই ব্যাপারে কোন কিছু জানান হয় নাই এমনকি অনিয়মিত ভবনটির বিরুদ্ধে রাজউক থেকে কোন কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে না।
অনিয়ম করে ঝুঁকিবহুল এই ভবনটির নির্মান কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। ভবনটির অনিয়মিত অংশ উচ্ছেদ বা অন্য কোন কার্যক্রম পরিচালনা করা এক সময় রাজউকের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়বে। এই ব্যাপারে এই প্রতিবেদকের তদন্ত অব্যহত আছে।