নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৪৮ বার
ঝিনাইদহ প্রতিবেদক: ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডু পৌরসভার জোড়াপুকুরিয়া-মান্দারতলা মাঠের নলবিল ঘিরে গড়ে উঠেছে রুপালী বিপ্লব খ্যাত মৎস্য খামার। প্রায় পাঁচ শতাধিক বিঘার উপর গড়ে ওঠা খামারটি ঘিরে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে প্রতিদিন শতাধিক পরিবারের রুটি রুজির ব্যবস্থা হয়ে আসছে।
হরিনাকুন্ডু পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের মান্দারতলা গ্রামের আবির ফিসারিজের সত্ত্বাধিকারী রবিউল ইসলাম এখন থেকে বছর পাঁচেক পূর্বে অবহেলিত নলবিলে পুকুর খনন করে মিঠা পানির কৈ, মাগুর, শিং, টেংরা, পাবদার সাথে উন্নত বর্ধনশীল জাতের গ্রাসকার্প, সিলভার কার্প, নাইলোটিকা ও দেশীয় প্রজাতির সুস্বাদু রুই, কাতল, মৃগেলসহ নানা প্রজাতির মাছ চাষ করে সফলতার পাশাপাশি এলাকায় বিশেষ পরিচিতি অর্জন করে।
মৎস্য চাষে এমন সফলতার মুখ দেখে এগিয়ে আসে পার্শ্ববর্তী জমির মালিক প্রায় আরও বিশ কুড়িজন কৃষক। এমনই একজন সাধারণ কৃষিজীবী ব্যক্তি জোড়া পুকুরিয়ার দক্ষিণ পাড়ার মৃত এলেম মন্ডলের ছেলে আব্দুল মজিদ। চার বছর পূর্বে নিজের এবং লীজ নিয়ে প্রায় আড়াই একর জমির উপর চারটি পুকুর খনন করে মৎস্য চাষ শুরু করে।
এ বছর সে মৎস্য চাষ খাতে কৃষি ব্যাংক থেকে তিন লাখ টাকা ঋণ নিয়ে প্রায় চার লাখ টাকার সমপরিমান অর্থ বিনিয়োগ করে পুকুর চারটিতে। কিন্তু গতকাল রাতে কে বা কারা প্রায় দুই বিঘা সমপরিমান একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ছয় লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ সম্পূর্ণরুপে মেরে ফেলা হয়েছে বলে পার্শ্ববর্তী মৎস্য চাষীরা জানায়।
ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্য চাষী আব্দুল মজিদ জানায়, সংশ্লিষ্ট পুকুরটিতে এবছর ৫০ হাজার টেংরা (গোলসা) সহ রুই, কাতল, গ্রাসকার্প, সিলভারকার্প, ব্লাড কার্প জাতীয় মাছ চাষ করা হয়। মাছের বাজার মন্দা থাকায় ইতিপূর্বে মাছ বিক্রি করা হয়নি। বর্তমানে মাছের বাজার বেশ খানিক চড়া হওয়ায় মাছ ধরে বিক্রির ঠিক পূর্ববর্তী মুহুর্তে এমন সর্বনাশ হয়ে যাওয়ায় ভুক্তভোগী চাষী সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে।