ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৩৮ বার
অপরাধ:- চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় গৃহকর্মীকে টানা পাঁচদিন বাসায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগে নাহিদা আক্তার রেনু (৩৪) নামের এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) বেলা ১২টায় চান্দগাঁওয়ের মোহরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার নাহিদা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৪৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি চমেক হাসপাতালে কর্মরত আছেন। বর্তমানে তিনি চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার বি-ব্লকের ১০ নম্বর রোডের একটি বাসায় থাকেন। এদিকে, নির্যাতনের শিকার তসলিমা আক্তারেরর (১৫) বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম আব্দুল গণি।
পুলিশ আরও জানায়, এক বছর আগে থেকে ডা. নাহিদার বাসায় কাজ করেন ১৫ বছর বয়সী কিশোরী তসলিমা আক্তার। বিভিন্ন সময় তাকে নির্যাতন করত ডা. নাহিদা। গত ১৮ জুলাই তসলিমা তার চোখে ডা. নাহিদার কাজল ব্যবহার করে। বাসায় ফিরে নাহিদা তা দেখতে পেয়ে কিশোরী তসলিমার ওপর নির্যাতন শুরু করে এবং টানা পাঁচ দিন আটকে রেখে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে একটি সেলুনে গিয়ে তার মাথার চুলও ফেলে দেয়া হয়।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) ভুক্তভোগী তসলিমার বাবা তার কন্যার সঙ্গে দেখা করতে আসে। কিন্তু ডা. নাহিদা তাকে দেখতে দেয় নি। এরই মধ্যে জানালার ফাঁকে মেয়েকে আটকে রাখতে দেখে তার বাবা। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চান্দগাঁও থানায় এসে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযোগের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত চিকিৎসক নাহিদাকে গ্রেপ্তার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান, ‘ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসককে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ (শুক্রবার) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।’