ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারী, ২০২৪ ২০:৩১ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১৭৬ বার
বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের রামপাল থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে সটকে পড়েছে কথিত একটি ঋনদানকারী এনজিও ৷ এনজিওটির ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত এখন উপজেলার প্রায় ৫ শতাধিক পরিবার ৷ মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারী) রামপাল থানায় পৃথকভাবে দুইটি অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ৷
পুলিশ ও ভুক্তভোগীরা জানায়, একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র সরকার অনুমোদিত লিখে সমাজ উন্নয়ন সংস্থা (এসইউএস) নামের একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে ও একটি অফিস নেয়। এরপর ওই চক্রের সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সদস্য সংগ্রহ শুরু করে। তারা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নারী ও পুরুষদের লোভনীয় অফার দেয়।সদস্যের অবস্থা বুঝে কাউকে গাভী পালনের জন্য লোন, কাউকে দোকান, কাউকে মৎস্য ঘেরের জন্য লোন দেয়ার কথা বলে। সুযোগ বুঝে ওই চক্রের সদস্যরা দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়। তারপর মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) উপজেলার শ্রীফলতলা নতুন রাস্তার মোড়ে রাজ্জাক হাওলাদারের ভাড়া দেওয়া অফিসে গ্রাহকদের ঋন নিতে আসার কথা ছিল ৷ সেখানে এসে অফিস তালাবদ্ধ পান এবং প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন।
জানাগেছে, উপজেলার পেড়িখালী গ্রামের বাদশা ইজারাদারের স্ত্রী লাইলী বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, কাদিরখোলা গ্রামের আতাউর রহমানের স্ত্রী ফিরোজা বেগমের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা, পেড়িখালী গ্রামের নাজমুল শেখের স্ত্রী ইরানী বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, ফরিদ শেখের স্ত্রী চম্পা বেগমের কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা, সিকিরডাঙ্গা গ্রামের বুলিনা বেগমের কাছ থেকে ৪৫ হাজার টাকা, কাষ্ঠবাড়িয়া গ্রামের মজিদ গাজীর স্ত্রী ময়না বেগমের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা, কাদিরখোলা গ্রামের আলাল শেখের স্ত্রী আবেরুন বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, চিত্রা গ্রামের শহিদ শেখের ছেলে তাহিদ শেখের কাছ থেকে ৩৮ হাজার টাকা, সিকিরডাঙ্গা গ্রামের নয়ন দাসের ছেলে অমিত দাসের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা, বড়কাটালী গ্রামের মেহেদী হাসানের স্ত্রী সুমি বেগমের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা, চিত্রা গ্রামের কামরুল খানের স্ত্রী জেসমিনের কাছ থেকে ৩৪ হাজার টাকাসহ পাঁচ শতাধিক গ্রাহকের প্রায় অর্থ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, চটকদার প্রলোভনে ফেলে মোহাচ্ছন্ন করে কোন রশিদ ছাড়া ওই প্রতারক চক্র সফলভাবে এই বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এ ব্যাপারে রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সোমেন দাশ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারী) বিকালে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটা ফোন নম্বর ও পাওয়া গেছে। দ্রুত তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে তিনি বলেন, এজাতীয় কোন এনজিওর সদস্যরা কারো কাছে লোভনীয় অফার দিলে সাথে সাথে রামপাল থানা অথবা ৯৯৯ এ কল করে সহযোগিতা নিলে প্রতারণা থেকে মুক্ত থাকা যাবে, পাশাপাশি সকলের সচেতন হতে হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।