ঢাকা, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

ভাসমান দোকান থেকে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে ধরা ঢাবি নিরাপত্তাকর্মী

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১৩:১২ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১১৭ বার


ভাসমান দোকান থেকে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে ধরা ঢাবি নিরাপত্তাকর্মী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন নুর আলম নামে ঢাবির গ্রন্থাগারের এক নিরাপত্তাকর্মী।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে হাকিম চত্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর হাতে ধরা পড়েন তিনি।

এ সময় তিনি ভ্রাম্যমাণ দোকানদার আরিফের কাছ থেকে স্থানের চাঁদা বাবদ ২০০ টাকা নিচ্ছিলেন।  

 

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাকিম চত্বরের রাস্তার পাশে অবৈধভাবে আচারের দোকান দিয়েছেন আরিফ। এ স্থানের চাঁদা বাবদ প্রতিদিন নুর আলমকে টাকা দেন তিনি। আজ দিনের চাঁদা হিসেবে নুর আলমকে ২০০ টাকা দেন আরিফ। তবে আরও বেশি টাকা দাবি করেন নুর আলম। টাকা নিয়ে দুজনের তর্কের সময় শিক্ষার্থীরা তাদের সরাসরি ধরে ফেলেন। এ সময় নুর আলমের হাতে আরিফের দেওয়া দুটি ১০০ টাকার নোট ছিল।

এ বিষয়ে নুর আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমি টাকা নেইনি। তিনি নিজ থেকে আমাকে চা-নাস্তা খাওয়ার জন্য টাকা দিয়েছেন। তিনি টাকা দিলে আমার কী করার আছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাকিম চত্বরে আরিফের পাশাপাশি ওজন মাপার যন্ত্র, ফুচকা ও ফুলের দোকান নিয়ে আরও কয়েকজন বসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এসব ভ্রাম্যমাণ দোকান বসার কোনো অনুমতি নেই।  

ফুলের দোকান নিয়ে রাস্তার পাশে বসেছেন সমতাজ বেগম। কার থেকে অনুমতি নিয়ে দোকান বসানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের নাম বলেন। সৈকতের কাছে বিষয়টি জানতে চেয়ে ফোন কল করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তার জানা নেই। ওই নারী মিথ্যা কথা বলছেন।

এদিকে সৈকতের সঙ্গে যোগাযোগের পর কথার সুর পাল্টান সমতাজ। সৈকতের সঙ্গে চলাফেরা করেন কোঁকড়া চুলের একজনের কথা বলেন। তবে তার নাম বা পরিচয় দিতে পারেননি তিনি। একইসঙ্গে তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত বলে বারবার উল্লেখ করেন।  

এর পাশেই ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে বসেছেন মোস্তফা। তারও এখানে বসার কোনো অনুমতি নেই। তবে চাঁদা দিয়ে নিয়মিতই এখানে বসেন তিনি।  

জানতে চাইলে গ্রন্থাগারিক অধ্যাপক নাসিরউদ্দীন মুন্সী বলেন, আমি লাইব্রেরিতে এসেছি। কী ঘটেছে বিষয়টি দেখছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. মাকসুদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা শিগগিরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। টিএসসিতে অবৈধ দোকানগুলোর পেছনে পায়রা চত্বরের নিরাপত্তাকর্মীদের হাত থাকতে পারে।


   আরও সংবাদ