ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর, ২০২৪ ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৩৪ বার
ঢাকা: বাংলাদেশের পূজার ঘটনায় ভারতের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও অযাচিত বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের একটি বিবৃতিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে যাতে “...হিন্দু এবং সমস্ত সংখ্যালঘু এবং তাদের উপাসনালয়গুলির নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে, বিশেষ করে এই শুভ উৎসবের সময়”। একই বিবৃতি “...মন্দির ও দেবতাদের অপবিত্রতা এবং ক্ষতির একটি পদ্ধতিগত প্যাটার্ন...” অভিযোগ করে। বাংলাদেশ সরকার এ ধরনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন এবং দাবিকে অযাচিত বলে মনে করে। শুধু কয়েকটি ঘটনা রিপোর্ট করা হয়েছে, যার ভিত্তিতে সরকারি কর্তৃপক্ষ হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য উৎসবের সময়জুড়ে দ্রুত কাজ করেছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বাংলাদেশের উদারনীতি ও গণতন্ত্রের একটি কালজয়ী বৈশিষ্ট্য হিসেবে রয়ে গেছে, যা সব মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে। বাংলাদেশ সরকার দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করে যে, প্রত্যেক ব্যক্তির তার ধর্ম, ধর্ম বা বিশ্বাস নির্বিশেষে কোনো বাধা ছাড়াই নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, পালন বা পালন করার অধিকার রয়েছে। বাংলাদেশজুড়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্থাপিত ৩২ হাজার পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পালনের মাধ্যমে এটি প্রমাণিত হয়েছে।
১০ অক্টোবর বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলার সাতক্ষীরার যশোরেশ্বরী কালী মন্দিরে একটি সোনার মুকুট চুরি হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, প্রধান পুরোহিত তার নিয়মিত পূজা অনুষ্ঠান দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত করেছিলেন। তখনো মন্দিরের ভেতরে মুকুট অক্ষত ছিল। পুরোহিত এবং মন্দিরের কর্মীরা কেন এত মূল্যবান সম্পত্তি অরক্ষিত এবং অনিরাপদ রেখেছিলেন, তা নির্ধারণের জন্য তদন্ত চলছে। চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংলাদেশে সব নাগরিকের বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি কর্তব্য।
পরিচয়, ধর্ম বা বিশ্বাস নির্বিশেষে প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সমুন্নত রাখা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে স্বীকৃত। অন্তর্বর্তী সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করতে চায় যে, বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘস্থায়ী ধর্মনিরপেক্ষ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রমাণপত্রাদি সমুন্নত রাখতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।