ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর, ২০২৪ ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫ বার
বড় ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও ইনিংস ঘোষণা করে চমকে দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে বোলাররা সেই সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করলেন।
বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ। একাই ৬ উইকেট তুলে নিয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার প্রথম ফাইফার। আর তাতে ভর করে অল্পতেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুটিয়ে দিয়েছে সফরকারীরা।
অ্যান্টিগা টেস্টের চতুর্থ দিনে উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস থেমেছে ১৫২ রানে। আর তাতে বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৩৩৪ রানের।
৯ উইকেটে ২৬৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করা বাংলাদেশ আজ সকালে আর ব্যাটিং না করে ইনিংস ঘোষণা করে দেয়। তখনও তারা ১৮১ রানে পিছিয়ে। তবে সকালের কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ জবাব দিয়েছেন। প্রথম উইকেট এনে দেন তাসকিন আহমেদ। দলীয় ২৫ রানে মিখাইল লুইসকে (৮) ফেরানোর পর কেসি কার্টিকেও আউট করেন বাংলাদেশের ডানহাতি পেসার। শাহাদাত হোসেন দীপু যদি স্লিপে ক্রেইগ ব্রাফেটের ক্যাচ মিস না করলে ৩ উইকেটই তাসকিনের হতো। তবে সেটা না হলেও ৯ রানে জীবন পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক পরে ২৩ রান করে শরিফুল ইসলামের শিকার হয়েছেন। প্রথম সেশনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩ উইকেটে ৬১ রান তুলতে পারে।
লাঞ্চের পর চলে তাসকিনের তাণ্ডব। তার বলে অ্যালিক অ্যাথানেজকে এলবিডব্লু দেন আম্পায়ার। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান ক্যারিবীয় ব্যাটার। এরপর কেভাম হজের বিপক্ষে আলবিডব্লুর আবেদন করেন মিরাজ। এবার আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। কিন্তু বল ট্রাকিংয়ে দেখায় স্টাম্প মিস করতো। তবে উইকেট পেতে খুব বেশি অপেক্ষায় থাকতে হয়নি বাংলাদেশকে। ৩১তম ওভারে হজকে (১৫) লিটনের ক্যাচে পরিণত করেন তাসকিন। পরের ওভারে মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন ৪২ রান করা অ্যাথানেজ। নিজের পরের ওভারে বল হাতে নিয়ে ফের আঘাত হানেন তাসকিন। এবার তার দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন গ্রিভস (২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সপ্তম উইকেটটি যায় তাইজুল ইসলামের দখলে। এই বাঁহাতি স্পিনারের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ডাইভ দিয়ে জশুয়া ডি সিলভার ক্যাচ নেন বদলি নামা ফিল্ডার হাসান মুরাদ। সিলভার ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। ১২৪ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে উইন্ডিজ। তবে তাদের লিড ততক্ষণে ৩০৫ রানের। এরপর কেমার রোচ ও আলজারি জোসেফ প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। জোসেফকে ফেরান মিরাজ। এরপর শামার জোসেফকে বিদায় করেন তাসকিন। ম্যাচে এটি তার পঞ্চম উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারেও এক ইনিংসে এই প্রথম পাঁচ শিকার ধরলেন তিনি। পরে সিলসকে আউট করে সেটিকে ছয়ে নিয়ে যান তাসকিন। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করার পথে ৬৪ রান খরচ করেছেন তিনি।
এর আগে প্রথম দিন টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেট হারিয়ে ৪৫০ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে ক্যারিবীয়রা। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৯ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৫৩ রান আসে জাকের আলীর ব্যাট থেকে। এছাড়া ফিফটি করেন মুমিনুল হকও (৫০)। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন আলজারি জোসেফ।