ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ ০৯:১২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৪ বার
জাতীয় স্বার্থে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে ঐক্য, সংলাপ এবং দেশকে ভালো জায়গায় নেওয়ার সদিচ্ছার ওপর গুরুত্বারোপ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, “এই জায়গাগুলো আমরা যদি মিস করি, তাহলে অনেকগুলো ক্রাইসিস সামনে আসতে থাকবে, রাজনৈতিক সংঘাত অনিবার্য হবে।”
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে নাগরিক কোয়ালিশন, ব্রেইন, ভয়েস রিফর্ম, ইনোভিশন, ফিনটেক সোসাইটি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, “বাংলাদেশের ক্রাইসিসগুলো মিটিগেট করার দায়িত্ব কার হাতে যাওয়া দরকার—এটা আমাদের স্টেটসম্যান হিসেবে ডিল করা উচিত। আমাদের এই বিষয়টা নিয়ে আসা উচিত যে, এটা কি সিভিল-মিলিটারি ব্যুরোকেসি, করপোরেশন্স ঠিক করবে, নাকি পলিটিক্যাল লিডাররা; যারা সত্যিকারের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন, তারা ঠিক করবে।”
তিনি বলেন, “সবচেয়ে ভালো হয়, আমরা পলিটিক্যাল লিডার এবং যাদের কথা বললাম; তাদের ও আমাদের জাতীয় সচেতনতা এবং ঐক্যের কথা আমরা বলে যাচ্ছি বিগত এক বছর, ওইটা থাকবে। এবং তারা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে সামনে দেবে যে, ইউ লিড দ্য প্রসেস। আমরা তোমাদের সঙ্গে আছি এবং আমরা এই রাষ্ট্রটাকে একটা ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে চাই।”
তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, “করপোরেশন্সের বিরুদ্ধে আমি না। কিন্তু করপোরেশন্সকে ভাবতে হবে এমন কোনো নীতিমালা, যে নীতিমালা আসলে সেই উপকৃত হবে, মিডিয়া স্টাব্লিশমেন্টকে ভাবতে হবে যে, জনগণের বৃহত্তর অংশকে যদি যুক্ত করি, আমি ভালো করব। ফলে এই যে গুডউইল এবং সম্পর্কের জায়গাটা দরকার; এটা যদি আমরা মিস করি তাহলে বার বার বিভিন্ন খাদে আমরা পড়ব—এক-এগারো, আরও অনেকগুলো ক্রাইসিস আমাদের সামনে আসতে থাকবে। রাজনৈতিক সংঘাত অনিবার্য হবে।”
“এটা কোনোভাবে হুমকি বা হতাশার জায়গা থেকে না। বরং সোসাইটিকে আমরা ওই জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি। সোসাইটিকে আমরা এমন একটা জায়গায় নিয়ে আসছি না, যেখানে ডায়ালগ সম্ভব, ফোর্সগুলোর মধ্যে একটা কমন ন্যাশনাল গোলে ঐকমত্য হওয়া সম্ভব,” বলেন মাহফুজ আলম।
তথ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, “নতুন বন্দোবস্ত বলতে আমরা চেয়েছিলাম শুধু প্রতিষ্ঠানের নাম বদল বা পদ–পদবির রদবদল নয়, বরং সিস্টেমের বদল।”
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিষয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে রাজনৈতিক ফোর্স হিসেবে আওয়ামী লীগ বড় কোনো শক্তি না। অনেকে মনে করে আওয়ামী লীগ অনেক বড় শক্তি। না, আওয়ামী লীগ বড় শক্তি নয়। তারা ২০১৪ সালের নির্বাচনেই দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা টিকেছিল সিভিল ও মিলিটারি ব্যুরোক্রেসি এবং করপোরেশনের আনহোলি নেক্সাসের জোরে।”