ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:০৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৫ বার
জাহিদ মালেক কী এখনও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী? না তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী। জাহিদ মালেকের পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী করা হয়েছে ডা. সামন্ত লাল সেনকে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা (মন্ত্রী পদ মর্যাদা) হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন নুরজাহান বেগম। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে এখনও জাহিদ মালেককে দেখা যাচ্ছে।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার হলো ঢাকার আগারগাঁওয়ে অবস্থিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। সেখানে স্বল্পমূল্যে উন্নতমানের বিভিন্ন রোগনির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
এই প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ওয়েবসাইটে (https://nilmrc.portal.gov.bd) এখনও (নিউজ লেখা পর্যন্ত) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হিসেবে জাহিদ মালেকের নাম দেখা যাচ্ছে। যদিও ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর জাহিদ মালেকের পরিবর্তে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান ডা. সামন্ত লাল সেন।
জাহিদ মালেকের পর আরও দুজন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করলেও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারের ওয়েব সাইটে এখনও তার নাম শোভা পাচ্ছে।
শুধু জাহিদ মালেক নয়, প্রতিষ্ঠানটির ওয়েব সাইটে স্বাস্থ্য সচিব হিসেবে এখনও দেখা যাচ্ছে ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে আছেন অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম। উল্লেখিত সবাই এখন সাবেক।
পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটের কভার ছবিতে আছে ছাত্র জনতার আন্দোলনে গত বছরে ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জনস্বাস্থ্যবিদ বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট জনগণের কাছে তথ্য সরবরাহ করার জন্যই তৈরি করা হয়। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওয়েবসাইট সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে যথাযথভাবে হালনাগাদ করতে হয়। এটাই নিয়ম। যেটা হয়েছে, সেটা ইচ্ছাকৃত কিংবা অনিচ্ছাকৃত ভুলেও হতে পারে। কেন এমনটা হলো সেটা যথাযথ তদন্ত করে দেখা উচিত এবং প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বরতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৯ সালের নির্বাচনেও তিনি মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২০১৪ সালে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি তিনি একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত এই পদে বহাল ছিলেন।