ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৭:০৫ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ২৭ বার
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ২৫ ডিসেম্বর দেশের মাটিতে পা রাখতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগের দিন ১১ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল ঘোষণার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারেক রহমানের দেশে ফেরার সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা রাজনীতির মাঠের হিসাব-নিকাশ সম্পূর্ণ উল্টে দিয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে হতে যাওয়া এই নির্বাচনে তারেক রহমানের সশরীরে উপস্থিতি ভোটের মাঠে কী প্রভাব ফেলবে এবং মিত্র দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন কীভাবে পরিবর্তিত হবে, তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে যে প্রকাশ্য দূরত্ব ও বাকযুদ্ধ চলছে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সেই দ্বৈরথ কোন দিকে মোড় নেয়, তা এখন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ আছে, তারেক রহমানকে স্থায়ীভাবে রাজনীতির মাঠ থেকে দূরে রাখতে বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে ডজন ডজন রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর আদালতের রায়ে তিনি সকল মামলা থেকে বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
দলের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছিল, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং বৈধ উপায়েই দেশে ফিরবেন। এখন যখন তিনি দেশে ফিরছেন, তখন তার মাথায় কোনো হুলিয়া নেই, কাঁধে কোনো সাজার বোঝা নেই। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ইতোমধ্যেই তিনি সব মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তিনি ফিরছেন একজন মুক্ত মানুষ এবং দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা হিসেবে। এই আইনি বিজয় তাকে নির্বাচনের মাঠে নৈতিকভাবে অনেক সুবিধাজনক অবস্থানে রাখবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আওয়ামী লীগবিহীন বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন নির্বাচনের মাঠে বিএনপির জন্য ‘মাস্টারস্ট্রোক’। গত এক বছরে মাঠ পর্যায়ে বিএনপি সক্রিয় থাকলেও শীর্ষ নেতৃত্বের সশরীরে অনুপস্থিতি দলটির জন্য একটি বড় দুর্বলতা ছিল। তারেক রহমানের ফেরার ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন রাজনৈতিক মাঠে বিএনপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো একমাত্র সংগঠিত শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার চেষ্টা করছে তাদেরই সাবেক মিত্র জামায়াতে ইসলামী।
এ ছাড়া, তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন কেবল একটি নির্বাচনী কৌশল নয়, বরং এটি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত এবং পশ্চিমা বিশ্বের একাংশে বসে থাকা অপপ্রচারকারীদের জন্য এই ঘোষণা এক বড় ধাক্কা। ৫ আগস্টের পর থেকে জামায়াত যেভাবে নিজেদের শক্তি জানান দিচ্ছে এবং বিএনপির সমালোচনা করছে, তাতে তারেক রহমানের উপস্থিতি বিএনপির জন্য অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমান দেশে ফিরলে বিএনপির তৃণমূলের কর্মীরা যে মনোবল পাবেন, তা জামায়াতের এককভাবে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
গত দেড় দশকে যে জামায়াত ছিল বিএনপির বিশ্বস্ত জোটসঙ্গী, ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর সেই সম্পর্কের রসায়ন সম্পূর্ণ উল্টে গেছে। দুই দলের শীর্ষ নেতারা এখন নিয়মিত একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন। জামায়াতের আমির এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য ইতোমধ্যেই রাজনীতির মাঠ চাঙ্গা করে রেখেছে। আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামী নিজেদের এখন প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তারেক রহমান দেশে ফিরলে জামায়াতের সেই হিসাব পাল্টে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা। তারেক রহমানের ফেরাটা তাই জামায়াতের জন্য অস্তিত্বের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়াতে পারে।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পলাতক এবং দলের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে থাকায় এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের কোনো কার্যকর উপস্থিতি নেই। ফলে চিরাচরিত ‘আওয়ামী লীগ বনাম বিএনপি’ লড়াইয়ের বদলে এবার লড়াইটি হতে যাচ্ছে ‘বিএনপি বনাম জামায়াত’ এবং অন্যান্য ছোট দলের মধ্যে। আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকায় এই দলের সমর্থকদের ভোটগুলো নিয়ে এখন কাড়াকাড়ি শুরু হবে। তারেক রহমানের উপস্থিতি ভোটারদের মধ্যে এক ধরনের আকর্ষণ কাজ করবে বলে মনে করছেন অনেকেই। জামায়াত এতদিন প্রচার করছিল যে বিএনপির নেতৃত্ব শূন্যতা রয়েছে, তারেক রহমান ফিরলে সেই প্রচার আর ধোপে টিকবে না বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষদের মত।
তারেক রহমানের নেতৃত্বের দূরদর্শিতার সবচেয়ে বড় প্রমাণ মিলেছে গত কয়েক মাসে। আওয়ামী লীগের পতনের পর বিএনপির কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ উঠছিল। সমালোচকরা বলছিলেন, তারেক রহমান দেশে নেই, তিনি দল সামলাবেন কীভাবে? কিন্তু লন্ডন থেকেই তিনি যে কঠোর বার্তা দিয়েছেন, তা নজিরবিহীন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশে গত কয়েক মাসে সারা দেশে কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করার অভিযোগে তিনি কাউকেই ছাড় দেননি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচন বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘটনাটি বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণায় এক অভাবনীয় উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে। গত ১৭ বছর ধরে দলের নেতাকর্মীরা কেবল প্রযুক্তির পর্দায় তাদের নেতাকে দেখেছেন, কিন্তু নেতাকে সশরীরে পাশে পাওয়ার যে মানসিক শক্তি, তা ছিল অনুপস্থিত। ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান যখন ঢাকার রাজপথে নামবেন, তখন তা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে এক নতুন প্রাণের সঞ্চার করবে।
মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি নিয়ে গবেষণা করা বিশ্লেষকরা বলছেন, দূর থেকে নির্দেশনা দেওয়া আর সেনাপতির মতো সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। তারেক রহমানের উপস্থিতি বিএনপির ঝিমিয়ে পড়া বা দ্বিধাগ্রস্ত কর্মীদের মধ্যে যে তড়িৎ গতির জাগরণ তৈরি করবে, তা নির্বাচনের মাঠের চেহারাই বদলে দেবে। কর্মীরা এখন জানবে, তাদের নেতা তাদের সঙ্গেই আছেন। এই বিশ্বাস থেকেই কর্মীরা ভোটকেন্দ্র পাহারা দেওয়া এবং ভোটারদের কেন্দ্রে আনার জন্য সর্বশক্তি নিয়োগ করবে।
সাধারণ ভোটার, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ভোটারদের ওপরও এর বিশাল প্রভাব পড়বে। গত দেড় যুগে যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তারা তারেক রহমানকে কেবল শোনা কথা বা অপপ্রচারের মাধ্যমে চিনেছেন। এখন তারা তাকে সরাসরি দেখবেন, তার পরিকল্পনা শুনবেন। বিশ্লেষকদের মতে, সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা ভোটাররা সাধারণত বিজয়ী দলের দিকেই ঝুঁকতে পছন্দ করেন। তারেক রহমানের বিশাল জনসমাবেশ দেখে এই নীরব ভোটারদের ভোটের স্রোত ধানের শীষের দিকেই ধাবিত হতে পারে বলে তারা মনে করেন।
তারেক রহমানের ফেরার ঘোষণায় প্রতিবেশী দেশ ভারত মোটেও খুশি নয় বলে কূটনৈতিক পাড়ায় জোর গুঞ্জন রয়েছে। রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শেখ হাসিনার পতনের পর ভারত বাংলাদেশে তাদের একচ্ছত্র প্রভাব হারিয়েছে। তারা চেয়েছিল এমন কোনো সরকার ক্ষমতায় আসুক, যারা দিল্লির অনুগত থাকবে। কিন্তু তারেক রহমানের সাম্প্রতিক অবস্থান ভারতকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান তার দলের পররাষ্ট্রনীতি পরিষ্কার করেছেন। তিনি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেছেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হবে— সবার আগে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করে কোনো দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব হবে না। বিশ্লেষকদের মতে, তার এই ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’ নীতি দিল্লির সাউথ ব্লকে অস্বস্তি তৈরি করেছে। ভারত আশঙ্কা করছে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারা আর আগের মতো একতরফা সুবিধা পাবে না। ট্রানজিট, নিরাপত্তা বা অর্থনৈতিক ইস্যুতে বাংলাদেশকে আর ‘নতজানু’ করে রাখা যাবে না।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক এবং সাবেক কূটনীতিকরা বলছেন, ভারত তারেক রহমানের ফিরে আসাকে তাদের ‘কৌশলগত পরাজয়’ হিসেবে দেখছে। ফলে তার ফেরার পথে বা নির্বাচনের আগে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র হতে পারে। অভিযোগ রয়েছে, আন্তর্জাতিক লবিস্ট এবং গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করা হতে পারে, যাতে নির্বাচন বানচাল হয় বা তারেক রহমানের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। তবে তারেক রহমান এই ঝুঁকি জেনেই সাহসিকতার সঙ্গে দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যা তার রাজনৈতিক পরিপক্কতার প্রমাণ।
গত এক দশক ধরে, বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর থেকে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে একটি সংঘবদ্ধ সাইবার প্রোপাগান্ডা বা অপপ্রচার চালানো হচ্ছিল। আমেরিকা এবং ফ্রান্স থেকে পরিচালিত কথিত ‘বিশ্লেষক’ ও ইউটিউবারদের একটি সিন্ডিকেট নিয়মিত প্রচার করে আসছিল যে, তারেক রহমান আর কখনোই দেশে ফিরতে পারবেন না। তারা বলছিল, তার দেশে ফেরার সাহস নেই এবং আইনি জটিলতার ভয়ে তিনি লন্ডনেই থেকে যাবেন।
এই অপপ্রচারকারীরা এমনকি তারেক রহমানের আবেগ ও মানবিক মূল্যবোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন দীর্ঘদিন ধরে সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি, তখন সমালোচকরা বলছিলেন— “তিনি কেমন সন্তান যে মৃত্যু পথযাত্রী মায়ের পাশেও থাকতে পারছেন না? তিনি দেশ চালাবেন কীভাবে?” এই ধরনের মনস্তাত্ত্বিক খেলা চালিয়ে তারা বিএনপির তৃণমূল কর্মীদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের ফেরার ঘোষণায় আমেরিকা ও ফ্রান্সে বসে থাকা ওই সব ইউটিউবার এবং সমালোচকদের মুখে চুনকালি পড়েছে। তাদের এতদিনের তৈরি করা ‘তারেক ফিরবেন না’ ন্যারেটিভ বা বয়ান নিমিষেই ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। তারেক রহমান প্রমাণ করেছেন— তিনি কেবল ভিডিও কনফারেন্সের নেতাই নন, তিনি সংকট মোকাবিলা করে মায়ের পাশে এবং দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে জানেন। এই ঘোষণা বিএনপির কর্মীদের মধ্যে যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে এনেছে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পলাতক এবং দলের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে থাকায়, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দৃশ্যত কোনো ফ্যাক্টর নয়। তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, আওয়ামী লীগ এবং তাদের বিদেশি প্রভুরা বসে নেই। শেখ হাসিনা ভারত থেকে কলকাঠি নেড়ে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারেক রহমানের ফেরার তারিখকে কেন্দ্র করে তারা দেশে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করতে পারে, যাতে আন্তর্জাতিক মহল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তারেক রহমানকে এই বহুমুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই এগোতে হবে।
২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে ফেরা কেবল একজন ব্যক্তির ঘরে ফেরা নয়, এটি বাংলাদেশের রাজনীতির একটি বড় বাঁক পরিবর্তন। গত দেড় দশকে তার বিরুদ্ধে চালানো অপপ্রচার, মামলা এবং নির্বাসনের যবনিকা ঘটিয়ে তিনি যখন শাহজালাল বিমানবন্দরে নামবেন, তখন তার কাঁধে থাকবে এক বিশাল প্রত্যাশার বোঝা। একদিকে ধ্বংসপ্রাপ্ত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত, অন্যদিকে দলের অতি-উৎসাহী নেতাকর্মীদের সামলানো এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখা, সব মিলিয়ে তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন মসৃণ হবে না, তবে তা নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের রাজনীতির দৃশ্যপটকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করবে। বিশ্লেষকরা একমত যে, তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন এবং তার ‘রাষ্ট্রনায়কোচিত’ পদক্ষেপগুলো নির্বাচনের ফলাফল বিএনপির অনুকূলে আনতে বড় ভূমিকা রাখবে।