ঢাকা, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের আশঙ্কা

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৩০ বার


করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের আশঙ্কা

জাতীয় ডেস্ক: ঈদের পর আবারও দেশে করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশব্যাপী চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেই মার্কেটে-শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মানুষের ভিড় এবং ঈদে ঘরমুখো জোয়ার মিলে এই ভয়কে বড় করে তুলছে। এর মধ্যে দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশ সেই শঙ্কাকে আরও তীব্র করে তুলছে। ইতোমধ্যে সীমান্ত এলাকায় ব্যাপক হারে করোনা টেস্ট এবং সেই এলাকার যানবাহন যাতে অন্য এলাকায় যেতে না পারে সেই বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

শরীরে রোগ-জীবাণু প্রবেশের পর থেকে রোগের লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগ পর্যন্ত মধ্যবর্তী যে সময়কাল সেটাকে বলা হয় ইনকিউবেশন পিরিয়ড। করোনার বেলায় এটা দুই দিন থেকে ১৪ দিন। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে এই সময়ের মধ্যে লক্ষণ উপসর্গ প্রকাশ পাওয়া শুরু করে। গত ২৫ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেই খুলে দেওয়া হয়েছে শপিং মল। প্রথম কয়েকদিন ক্রেতাদের চাপ কম হলেও পাঁচ দিন পর থেকে চাপ বাড়তে শুরু করে। বিভিন্ন শপিং মল, মার্কেটে দেখা যায় মানুষের উপচেপড়া ভিড়। সেখানে নেই সামাজিক দূরত্ব বা স্বাস্থ্যবিধি পালনের লক্ষণ। সেটির একটি প্রভাব ১৪ দিন পর পড়তে পারে বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

পাশাপাশি সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ঈদে বাড়ি ফেরার হিড়িক। গত ২ মে থেকে দেশের ফেরিঘাটগুলোতে দেখা যায় ঘরমুখো মানুষের চাপ। জনস্রোত ঠেকাতে ফেরি বন্ধ ঘোষণা করে শুধু মালবাহী পণ্য নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। তবে তাতেও বাধে বিপত্তি। জনস্রোত ঠেকাতে বিজিবি মোতায়েন করা হলেও তাতে কোনও কাজ হয়নি। ফলে আবার ফেরি চালু করে দিতে অনেকটা বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষ যে কোনও উপায়ে ঢাকা ছাড়ছেন। কেউ ট্রাকে, কেউ পিকআপে কিংবা অনেকে পায়ে হেঁটেই রওনা হচ্ছেন গন্তব্যের দিকে।


   আরও সংবাদ