ঢাকা, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই বাড়ি ফিরছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক


প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৬৫৩ বার


সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই বাড়ি ফিরছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা মহামারির কারণে এবারের ঈদে গ্রামের বাড়িতে যেতে মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে বন্ধ রাখা হয়েছে দূরপাল্লার পরিবহন। তবে এ অবস্থার মধ্যেও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই বাড়ি ফিরছে মানুষ। দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটাতে ভেঙে ভেঙে দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া গুনে বাড়ি যেতে দেখা গেছে বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিক, ভাসমান ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে।

মঙ্গলবার (১১ মে) সকাল হতে ঘরমুখো মানুষকে গাজীপুর ছাড়তে দেখা গেছে। এদের কেউ ট্রাকে, কেউ পিকআপে, কেউ বা মোটরসাইকেলে, যে যেভাবে পারছেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছুটছেন গ্রামে। এ যেন বাড়ি ফেরার এক ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতা। করোনা মহামারির ভীতি নেই তাদের মাঝে। বাস বন্ধ থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট ছোট যানে করেই বাড়ি ফিরছেন তারা।

বেলা ১১ টায় সরেজমিন গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা গিয়ে দেখা যায়, ঝুঁকি নিয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এসময় কম সংখ্যক যাত্রীকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করতে দেখা গেছে।

সরেজমিন চন্দ্রা ত্রি-মোড়ে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের ভিড়। যেকোনও উপায়ে বাড়ি যেতে হবে তাদের। অনেকে গাড়ি না পেয়ে দাঁড়িয়ে আছেন রাস্তার পাশে। তাদের বাড়ি ফেরার জন্য এখন পিকআপ ভ্যান, মিনি ট্রাক আর মোটরসাইকেলের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যে ছেড়ে যাচ্ছে দুই-একটা বাস। তিনগুণ ভাড়া দিয়ে তাতে উঠে পড়ছে যাত্রীরা। অনেকে হেঁটে রওনা দিচ্ছে সামনে গিয়ে কোনও যানবাহন পাওয়ার আশায়।

গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, চন্দ্রা, টঙ্গী, চেরাগ আলী, স্টেশন রোড এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গণপরিবহন না থাকলেও ঘরে ফেরা মানুষ গন্তব্যে যাচ্ছেন প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে করে। তবে এভাবে যেতে ভাড়া গুনতে হচ্ছে তিন থেকে চারগুণ বেশি। টঙ্গী থেকে ময়মনসিংহ যেতে সাধারণ সময়ের চেয়ে ২০০ টাকার ভাড়ার বিপরীতে গুনতে হচ্ছে ৪০০/৫০০ টাকা। কালিয়াকৈর হয়ে টাঙ্গাইল যেতে ২৫০ টাকার ভাড়ার জায়গায় দিতে হচ্ছে ৬০০ টাকা।


   আরও সংবাদ