ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৭৭৬ বার
ইসলাম ডেস্ক: মানুষকে উপেক্ষা করে মানুষের জীবন চলতে পারে না। মানুষের পারস্পরিক ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও সহযোগিতায় তৈরি হয় সুদৃঢ় মায়ার বন্ধন। গড়ে উঠে সভ্য সমাজ ও নতুন পৃথিবীর ছবি। হিংসা-বিদ্বেষের অভিশপ্ত আগুনে পুড়ে কলঙ্কিত হয় মানুষ, পরিবার ও সমাজ।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা একে অন্যের সঙ্গে হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করবে না। পরস্পর শত্রুতা করবে না। পারস্পরিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করবে না।’ তোমরা আল্লাহর বান্দা হিসেবে ভাই ভাই হয়ে থাকবে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৬৪২৪)
হিংসা নেক আমল খেয়ে ফেলে
প্রাণের নবী মুহাম্মদ (সা.) হিংসাকে ঘৃণা করতেন। হিংসার বিরোধিতা করতেন। সাহাবিদের হিংসা-বিদ্বেষ পরিহারের আদেশ দিতেন। হিংসা মানুষের ক্ষতি সাধন করে। মানুষের জীবনের অমূল্য সম্পদ নেক আমল ধ্বংস করে। ব্যক্তিকে পাপী বানায়। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা অবশ্যই হিংসা পরিহার করবে। কারণ আগুন যেভাবে কাঠ বা ঘাসকে খেয়ে ফেলে, তেমনি হিংসাও মানুষের নেক আমলকে খেয়ে ফেলে।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯০৩)
জান্নাতের অধিবাসী হিংসা করে না
জান্নাতি জগতের শ্রেষ্ঠ সফল ব্যক্তি। যে জান্নাত লাভ করেছে সে ধন্য। যে জান্নাতি হবে, তার জীবনে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। হিংসা-বিদ্বেষের ঘৃণিত প্রথা জান্নাতি লোকের চরিত্রের সঙ্গে যায় না। জান্নাতি লোকমাত্রই এসব নোংরা স্বভাব থেকে পবিত্র থাকবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘প্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তারা পূর্ণিমার চাঁদের উজ্জ্বল চেহারা নিয়ে প্রবেশ করবে আর তাদের পর যারা প্রবেশ করবে তারা অতি উজ্জ্বল তারার মতো আকৃতি ধারণ করবে। তাদের অন্তরগুলো এক ব্যক্তির অন্তরের মতো থাকবে। তাদের মধ্যে কোনো রকম মতভেদ থাকবে না আর পরস্পর হিংসা-বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের প্রত্যেকের দুজন করে স্ত্রী থাকবে। সৌন্দর্যের কারণে গোশত ভেদ করে পায়ের নলাম মজ্জা দেখা যাবে। তারা সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহর তাসবিহ পাঠ করবে। তারা রোগাক্রান্ত হবে না, নাক ঝাড়বে না, থুথু ফেলবে না। তাদের পাত্রসমূহ হবে স্বর্ণ ও রৌপ্যের আর চিরুনিসমূহ হবে স্বর্ণের। তাদের ধুনুচিতে থাকবে সুগন্ধি কাঠ।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩২৪৬)
দুটি বিষয়ে হিংসা করা যাবে
রাসুল (সা.) বলেন, ‘দুটি বিষয় ছাড়া হিংসা করা যাবে না। এক. যাকে আল্লাহ কোরআন দান করেছেন সে তা দিন-রাত তিলাওয়াত করে। একজন বলল, এই ব্যক্তিকে যা দেওয়া হয়েছে, যদি আমাকেও তা দেওয়া হতো, তবে সে যেমন করছে, আমিও তা করতাম। দুই. যাকে আল্লাহ সম্পদ দিয়েছেন, সে তা যথোচিতভাবে খরচ করে। একজন বলল, তাকে যা দেওয়া হয়েছে, তা যদি আমাকে দেওয়া হতো, তাহলে আমি অবশ্যই তা-ই করতাম, সে যা করে।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭২৩২)