আজ ০৮/০৮/২১ইং দুপুর একটার দিকে মাধুরী ঘোষ, বয়স ৮৩, মহল্লা, পাঁচবিবি পৌরসভা জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার 3827 40 54 97 304 নামে একজন মহিলা তার ছেলে গৌতম কে সাথে নিয়ে কোভিড ১৯ অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন,
কর্তৃপক্ষ প্রথমে টিকার কার্ড গুলো গ্রহণ করেন তারপর স্বাক্ষর করে তাদেরকে টিকার বুথে ঢুকিয়ে দেন, টিকা প্রদানের পর তার সন্তান টিকা প্রয়োগকারী কে জিজ্ঞাসা করেন আমার মাকে আপনারা কোন টিকা প্রদান করিলেন তখন সাদিয়া আক্তার, সিনিয়র স্টাফ নার্স উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল পাঁচবিবি জয়পুরহাট, তাকে জানান আমরা আপনার মাকে কোভিড ১৯ মর্ডানা প্রথম ডোজ টিকা প্রদান করিলাম।
তখন গৌতম উক্ত নার্সকে বলেন আমার মা অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা নিতে আসছিলেন, যা আমার মায়ের টিকার কার্ড তার প্রমান বহন করে, প্রথমে তিনি শ্রীইন্ডিয়ান টিকা গ্রহণ করেছিলেন এরপর এখন অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা প্রদান করতে হতো কিন্তু আপনারা কেন মর্ডানা টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগ করিলেন ?
উত্তরে সাদিয়া আক্তার সিনিয়র স্টাফ নার্স তাকে বলেন মর্ডানা টিকা প্রয়োগে ওই গ্রাহকের শরীরে কোন সমস্যা হইবে না এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতোই কাজ করিবে।
তথ্য অনুসন্ধানে আরো কিছু বিষয় লক্ষ্য করা যায় যে উক্ত মাধুরী ঘোষের টিকার কার্ড এ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার নাম লেখা হয়েছে কিন্তু বাস্তবে তাকে মর্ডানা টিকা প্রদান করা হয়।
এতকিছু অবহেলা ও অনিয়মের বিষয়ে মাহবুব আলআমিন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জয়পুরহাট, থেকে মতামত চাইলে তিনি বলেন অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার পরিবর্তে মর্ডানা ভ্যাকসিনে কোন সমস্যা নেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার মতোই কাজ করবে।