বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০৮৪ বার
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কমলাপুর গ্রামের আবজাল হোসেন ও আরজিনা বেগমের একমাত্র সম্বল ছিল ৩০টি ভেড়া। কিন্তু কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর পর একে একে তাদের ১৪টি ভেড়া মারা গেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে হতদরিদ্র পরিবারটি।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ছয়টি ও বুধবার (১৮ আগস্ট) আটটি ভেড়া মারা যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত আবজাল ও আরজিনা বেগম জানান, তাদের চাষযোগ্য কোনো জমি নেই। মাত্র তিন শতক জমির ওপর টিনের ঝুপড়িতে স্বামী-স্ত্রীর বসবাস। বাড়ির সঙ্গে আরও ১০ শতক জমিতে গড়ে তুলেন ভেড়ার খামার। গত পাঁচ বছর ধরেই ভেড়া লালন পালন করে আসছেন তারা। মাত্র পাঁচটি ভেড়া থেকে এখন ৩০টি।
তারা আরও জানান, সম্প্রতি তারা লক্ষ্য করেন ভেড়াগুলো ঠিকমতো মল ত্যাগ করছে না। বিষয়টি মঙ্গলবার কালীগঞ্জ প্রাণি সম্পদ অধিদফতরের গিয়ে জানান। সেখানকার চিকিৎসকরা কৃমিনাশক ওষুধ দিয়ে বলে দেন গর্ভবতী ভেড়াকে এই ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।
বুধবার সকালে তাদের কথামতো নিয়ম মেনে খামারের ১৮টি ভেড়াকে ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপরই ভেড়াগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাতেই আটটি ভেড়া মারা যায়। বৃহস্পতিবার আরও ছয়টি ভেড়া মারা যায়। অসুস্থ রয়েছে আরও চারটি।
এদিকে, ঘটনার পর মৃত ভেড়ার নমুনা সংগ্রহ করেছে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার এএসএম আতিকুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে যায় এবং অসুস্থ ভেড়ার চিকিৎসা দেয়। এছাড়া মৃত ভেড়ার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মূলত কৃমি ওষুধ সকালে খাওয়াতে হয়। প্রাণিদের বিশ্রামে রাখতে হয়। কিন্তু খামারি আফজাল হোসেন কৃমিনাশক ওষুধ খাইয়ে মাঠে ভেড়াগুলো চরাতে নিয়ে যান। এর কারণেই ভেড়াগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং মারা যায়। তবে প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে যতটুকু সহযোগিতা করা যায়, তা করা হবে।
এছাড়া স্থানীয় সুন্দরপুর দুর্গাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইলিয়াস রহমান মিঠু খামার পরিদর্শন করেছেন।চেয়ারম্যান জানান, খবর পেয়ে তিনি বুধবার ক্ষতিগ্রস্ত খামারির বাড়িতে যান। সেখানে তিনি আটটি মৃত ভেড়া দেখেছেন।