বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৪:১৯ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ১০৪০ বার
চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে সীমান্ত ঘেঁষা উপজেলা জীবননগর। এ উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৭৩ সালে স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের জুন মাসে ৫১ শয্যায় উন্নীত করা হয়। বর্তমানে জনবল সংকটে ভুগছে স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সটি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে ওই অঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা।
ডাক্তার-নার্সসহ মাত্র ৭৩ জনবল নিয়ে উপজেলার এক পৌরসভা, আট ইউনিয়ন ও ২শ' গ্রামের ৯৩ হাজার ৪৫৫ জন পুরুষ এবং ৯৩ হাজার ৩৫৪ জন মহিলা ও পার্শ্ববর্তী মহেশপুর উপজেলার একটি বড় অংশের মানুষের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এই স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে। হাসপাতালের আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ একটি অপারেশন থিয়েটার শুধুমাত্র একজন এনেসথেসিওলজিস্ট ডাক্তারের অভাবে অব্যবহৃত পড়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে।
২০২০ সালের ১৪ মে জীবননগরে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর উপজেলা
\হস্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের তত্ত্বাবধানে স্বল্পসংখ্যক ডাক্তার-নার্স নিয়ে করোনার নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসা সেবা দেওয়া শুরু করে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের জন্য আলাদাভাবে ৪টি কক্ষে ২৬ শয্যাবিশিষ্ট করোনা ওয়ার্ড চালু করে। এখানে ৯৭ জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। যারা করোনা প্রতিরোধে টিকা ও চিকিৎসাসেবা প্রদান করে চলেছে।
এ উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯শ' ৭১ জন। এর মধ্যে মারা গেছে ২৩ জন। চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৮শ' ৯৭ জন। এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট ৩৭ হাজার ২৪০ ডোজ টিকা এসেছে। এর মধ্যে অ্যাস্ট্রোজেনিকার ২৯ হাজার ৬৯০ এবং সিনোফার্মার ৭ হাজার ৫৫০ ডোজ। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল বলছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সেলিনা আখতার শিমু জানান, ৩১ শয্যার হাসপাতালের জনবল অনুযায়ী ১৪ জন ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন ১০ জন। তার মধ্যে ১ জন জেলা সদরে ডেপুটেশনে আছেন। নার্স ২১ জনের মধ্যে ১ জনের পদ শূন্য। জুনিয়র কনসালটেন্ট, গাইনি, এনেসথেসিওলজিস্ট ও মেডিসিন ডাক্তারের ৪টি পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। চিকিৎসক ও নার্সরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে করোনা আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার থাকলেও জনবল সংকটের কারণে চালানো সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও এক্স-রে মেশিন ও জেনারেটরটি সম্পূর্ণ অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি আরও জানান, ২০১৬ সালে হাসপাতালটিকে ৩১ থেকে ৫১ শয্যায় উন্নীত করা হলেও জনবল সংকটে অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি, ফলে ৩১ শয্যা হিসেবেই হাসপাতালটি চালাতে হচ্ছে। সূত্র: যায়যায় দিন