বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ নভেম্বর, ২০২১ ০৭:৪০ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৭৬ বার
মূল ম্যাচ টাই, সুপার ওভারও টাই। শেষ পর্যন্ত বিজয়ী নির্ধারণ করতে অদ্ভুত এক নিয়মের আশ্রয় নিয়েছিল আইসিসি। বেশি বাউন্ডারি মারার সুবাদে নিউজিল্যান্ডের হৃদয় ভেঙে শিরোপা উৎসব করেছিল ইংল্যান্ড।
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেই অবিস্মরণীয় ফাইনালের স্মৃতি ফিরিয়ে এনে আবুধাবিতে আজ টি ২০ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড। সংস্করণ ও মঞ্চ ভিন্ন হলেও দুই ‘ল্যান্ডের’ লড়াইয়ের আগে লর্ডসের সেই মহাকাব্যিক ফাইনাল নিয়েই চর্চা হচ্ছে বেশি। দুই বছর আগে নিউজিল্যান্ড যেভাবে শিরোপাবঞ্চিত হয়েছিল, তা নিয়ে সমালোচনার সুনামির মুখে বাউন্ডারির সেই নিয়মই তুলে দিয়েছে আইসিসি।
আজ দুদল আরেকটি টাই রোমাঞ্চ উপহার দিলে ম্যাচ গড়াবে সুপার ওভারে। সুপার ওভারও টাই হলে আরেকটি সুপার ওভার। সেখানেও যদি নিষ্পত্তি না হয়, আবারও সুপার ওভার। এভাবে চলতেই থাকবে। সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে থাকায় সময় নিয়ে চিন্তা নেই! নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের মতো ইংল্যান্ড অধিনায়ক এউইন মরগ্যানও বলেছেন, লর্ডসের সেই ফাইনাল নিয়ে আলোচনা এখন অপ্রাসঙ্গিক। এটা পুরোপুরি ভিন্ন ম্যাচ।
হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে চান না নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিডও। কাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানালেন, লর্ডসের ভূত আবুধাবিতে তাড়া করবে না তাদের, ‘বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষে খেলার চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমাদের যত ভাবনা। ২০১৯ বিশ্বকাপ নিয়ে কাউকে কিছু বলতে শুনিনি আমি। ওই ম্যাচের কিছুই এখানে বয়ে আনিনি আমরা।’ স্টিড না চাইলেও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনের কথাটা বলে দিলেন সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইক আথারটন, ‘২০১৯ সালের জুলাইয়ের সেই অবিস্মরণীয় সন্ধ্যায় লর্ডসে যে ক্লাসিক লড়াই উপহার দিয়েছিল ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড, সেই নাটকীয়তার এক শতাংশও যদি এবার থাকে, টি ২০ বিশ্বকাপ ধন্য হয়ে যাবে।’
গত দুই বছরে দুদলই আরও শানিত হয়েছে। এ বছর নিউজিল্যান্ড জিতেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা। ইংল্যান্ড উঠে এসেছে টি ২০ র্যাংকিংয়ের শীর্ষে। আসরের শুরু থেকেই শিরোপার বড় দাবিদার মানা হচ্ছে তাদের।
পাঁচ ম্যাচের চারটি জিতে গ্রুপসেরা হিসাবে সেমিতে উঠেছে মরগানের দল। প্রথম দল হিসাবে পরপর ওয়ানডে ও টি ২০ বিশ্বকাপ জেতার হাতছানি ইংল্যান্ডের সামনে। তবে সেমিফাইনালের আগে চোটের কারণে ওপেনার জেসন রয় ও পেসার টাইমাল মিলসকে হারানো তাদের জন্য বড় ধাক্কা। রয় না থাকায় ব্যাটিং অর্ডারে অনেক পরিবর্তন আনতে হবে। অফ-স্পিনিং অলরাউন্ডার মঈন আলীকে নিতে হবে বাড়তি দায়িত্ব। সেজন্য প্রস্তুত মঈন, ‘দলের প্রয়োজনে যে কোনো পজিশনে ব্যাট করতে প্রস্তুত আমি। ২০১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে খেলা হয়নি আমার। ব্যক্তিগতভাবে সেটা হতাশার ছিল। তবে আরেকটি বিশ্বকাপজয়ী দলের অংশ হয়ে থাকতে পারলে সব কষ্ট ভুলে যাব আমি।’
ইংলিশ ব্যাটিংয়ের প্রাণভোমরা ওপেনার জস বাটলার। পাঁচ ম্যাচে করেছেন ২৪০ রান। তার ব্যাট থেকেই এসেছে টুর্নামেন্টের একমাত্র সেঞ্চুরি। আজ তাকে দ্রুত ফেরানোই নিউজিল্যান্ডের মূল লক্ষ্য। কঠিন সেই দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের পেস আক্রমণের নেতা ট্রেন্ট বোল্ট। পাঁচ ম্যাচে ১১ উইকেট নেওয়া বোল্টের হুংকার, ‘শুরুতেই কিছু উইকেট নিয়ে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরার জাদুকরী রেসিপিটা আমরা জানি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কাজটা সহজ হবে না। খুবই ভারাসাম্যপূর্ণ দল তারা। খেলছেও দুর্দান্ত। তবে নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রেখে আমরা বড় অঘটনের জন্ম দিতে চাই। অন্তত সেটা আশা করতে পারি।’