ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ১১:০৯ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫০৮ বার
সব জিনিসের একটা মৌসুম থাকে। রমজানুল মোবারক হলো ইবাদত-বন্দেগির মৌসুম। মৌসুমের সময় কোনো জিনিস যত বেশি সঞ্চয় করা যায় অন্য সময়ে তা সম্ভব হয় না। এ মাসে বান্দা যত বেশি আমল করবে তার পরকালীন ভাণ্ডার ততই সমৃদ্ধ হবে। রমজানের অন্যতম আমল হলো দান-সদকা। গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়া। দানশীলতা ও বদান্যতা প্রদর্শনের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ ও পারলৌকিক মুক্তির পথ প্রশস্ত করা। বাকি ১১ মাসের চেয়ে এ মাসে দানের ফজিলত অনেক বেশি। মহানবী সা: এই মাসে এত পরিমাণ দান-খয়রাত করতেন যে, হাদিসে তাকে বেগমান বাতাসের সাথে তুলনা করা হয়েছে।
মহানবী সা: এই মাসকে ‘শাহরুল মুওয়াসাত’ বা সহমর্মিতার মাস নামে অবহিত করেছেন। কেননা এক মাসের সাওম পালনের দ্বারা রোজাদার ক্ষুধার্ত মানুষের কষ্ট উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়। এর ফলে তার অন্তরে আর্তপীড়িত ও ব্যথিত মানবগোষ্ঠীর প্রতি সহমর্মিতা জাগে। রোজাদারের উচিত তার এই জাগ্রত সহানুভূতিকে কাজে লাগানো এবং তাদের ব্যথা উপশমে কার্যকরী ভূমিকা রাখা। তা বুদ্ধি-পরামর্শ ও কায়িক সহযোগিতা এবং দান-দক্ষিণা বিভিন্নভাবেই হতে পারে।