ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল, ২০২২ ২৩:০৩ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৫৯৯ বার
শাশ্বত ধর্ম ইসলামে বছরের শ্রেষ্ঠ রজনী শবে কদর। পবিত্র কুরআনে এই রাতকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম আখ্যা দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ।’ (সূরা কদর, আয়াত : ৩)।
রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে শবে কদর অনুসন্ধানের কথা বলা হয়েছে। তবে কোন রাতটি শবে কদর, তা কুরআন-হাদিসে সুনির্দিষ্টভাবে বর্ণিত হয়নি।
অবশ্য, অনেক আলিম রমজানের ২৭তম রাতে (২৬ রমজান দিবাগত রাত) শবে কদর হওয়ার সম্ভবনা বেশি বলে মত প্রকাশ করেন। তাই নাজাতের দশ দিনের বেজোড় রাতগুলোসহ বিশেষভাবে ২৭তম রাতে শবে কদর অন্বেষণ করা এবং বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানো উচিত। এখানে হাদিসের আলোকে শবে কদর সম্পর্কিত বিশেষ চারটি আমলের কথা তুলে ধরা হলো—
পবিত্রতা ও শুদ্ধতা অর্জন
শবে কদরের বরকত লাভের প্রধান শর্ত হলো ভেতর-বাইরের পবিত্রতা অর্জন করা এবং একনিষ্ঠ হয়ে আল্লাহর দরবারে হাজির হওয়া। আল্লামা ইবনে রজব হাম্বলি রহ: বলেন, ‘উত্তম হলো যে রাতে কদর অনুসন্ধান করা হবে, তাতে পরিচ্ছন্নতা অর্জন করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, গোসল-সুগন্ধি-উত্তম কাপড়ের মাধ্যমে সৌন্দর্যবর্ধন করা। আর বাহ্যিক সৌন্দর্য বাস্তবিক সৌন্দর্যের জন্য যথেষ্ট নয়, যদি না মানুষের ভেতরটা সুন্দর হয়। মানুষের ভেতরটা সুন্দর হয় তওবা ও আল্লাহমুখী হওয়ার মাধ্যমে।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ, পৃষ্ঠা ১৮৯)
তওবা ও ক্ষমা প্রার্থনা
এই রাতে আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ হয়ে তওবা করা এবং জীবনের যাবতীয় গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনা করার কথা বলা হয়েছে। আয়েশা রা: রাসূলুল্লাহ সা:-কে জিজ্ঞেস করেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল, আমি যদি জানতে পারি লাইলাতুল কদর কোনটি, তাহলে আমি সে রাতে কী বলব? তিনি বলেন, ‘তুমি বলো—আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন কারিম, তুহিব্বুল আফওয়া, ফা’ফু আন্নি; অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ, নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল, দয়ালু, আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন; সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস: ৩৫১৩)
নামাজ ও ইবাদত
মহানবী সা: কদরের রাতে ইবাদত ও নামাজ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি ইমানের সাথে সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদতের জন্য রাত জাগবে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৫)
বিজোড় রাতগুলাতে ইবাদত
২৭তম রাতেই লাইলাতুল কদর হবে, এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তাই এই রাতের ফজিলত পেতে রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ইবাদত করা উচিত। কেননা মহানবী সা: বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করো।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২০১৭)