ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ৭ জুন, ২০২২ ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৭৬ বার
মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে তাঁর বান্দার যুবক বয়স অনেক বেশি পছন্দের ও মাকবুলের। যুবক বয়সের গুরুত্ব নিয়ে একটি হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- ‘কিয়ামতের দিন মাত্র সাত শ্রেণীর মানুষ মহান আল্লাহ তায়ালার পবিত্র আরশে আজিমের নিচে ছায়া পাবে। সেই সাত শ্রেণীর মধ্যে এক শ্রেণী হবে সেই সব যুবক যারা তাদের যুবককালীন সময় ইবাদতে কাটিয়েছেন।’ অর্থাৎ, যুবক বয়সের মাহাত্ম্য অকল্পনীয়। কিন্তু, পরিতাপের বিষয় এই যে, এই দুর্দান্ত বয়সে আমরা সঠিক পথের ওপর অটল থাকতে পারি না, ধৈর্য ধারণ করতে পারি না। ফলে, অঙ্কুরে বিনষ্ট হয়ে যায় পরকালের সুখময় বৃহৎ জীবনের সম্ভাবনা। যুবক বয়সে যুবকরা নানা ধরনের পাপ ও অপকর্মে ডুবে থাকে। এই লেখায় সেরকমই বড় পাঁচটি গুনাহের স্বরূপ আলোচনা করা হলো।
প্রতি দৃষ্টি : ইসলাম চারিত্র্যিক উৎকর্ষতার ধর্ম। মানুষের চরিত্র ফুটে ওঠে তার আচার-আচরণ এমনকি তার চাহনির মধ্যেও। একজন পুরুষ বা স্ত্রীর জন্য কোনো নন-মাহরাম বা রক্তের সম্পর্কিত আত্মীয় ছাড়া অন্য কোনো স্ত্রী বা পুরুষদের সাথে যাবতীয় মেলামেশা (কথাবার্তা, দেখা করা...) হারাম। কারণ, তাতে বিপদের সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়। যে বিপদের বাস্তব চিত্র আজকাল সমাজে অহরহ দেখা যাচ্ছে।
হজরত আলী রা: বর্ণনা করেন, নবী করিম তাকে বলেছেন, ‘...একবার দৃষ্টি নিক্ষেপের পর দ্বিতীয়বার দৃষ্টি নিক্ষেপ করবে না (বেগানা নারীর প্রতি)। কেননা, প্রথম দৃষ্টি তোমার সপক্ষে কিন্তু দ্বিতীয় দৃষ্টি তোমার বিপক্ষে।’ অর্থাৎ, রাস্তায় চলতে চলতে যদি কোনো বেগানা নারীর প্রতি নজর চলে যায় তাহলে তৎক্ষণাৎ দৃষ্টি ফিরিয়ে নিতে হবে। দ্বিতীয়বার দৃষ্টি দেয়া তো দূরের কথা, প্রথম দৃষ্টিও দীর্ঘস্থায়ী করা যাবে না। প্রথম দৃষ্টি হতে পারে অসাবধানতাবশত অথবা চলার রাস্তা দেখার জন্য। অন্যত্র, মানুষের দৃষ্টিকে শয়তানের বিষাক্ত তীরের সাথে তুলনা করা হয়েছে। মানে, তীর যেমন মানুষের প্রাণনাশ করে তেমনি কুদৃষ্টি মানুষের ঈমান নাশ করে। অতএব, ঈমানের স্বার্থে, আল্লাহর ভয়ে ও জান্নাতের চিরস্থায়ী সুখের আশায় আমাদেরকে আমাদের দৃষ্টির হিফাজত করতে হবে।