ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১১ জুন, ২০২২ ১০:১২ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৯৫ বার
হজরত মুহাম্মদ সা: একজন ব্যক্তিই নন, একটি জীবন্ত আদর্শ, একটি বিপ্লব। পৃথিবী আজ অবধি কত মানুষ-মহামানুষ দেখেছে, কত নামীদামি মানুষের সংস্পর্শ পেয়েছে, কিন্তু নবী মুহাম্মদ শুধু একজনই পেয়েছে। সৃষ্টিকুলে চরিত্রের সর্বোচ্চ সিংহাসন যিনি দখল করেছেন, তিনি হলেন হজরত মুহাম্মদ সা:। উত্তম চরিত্রের ফুল ফুটিয়ে পৃথিবীকে যিনি চমকে দিয়েছেন, তিনি হলেন হজরত মুহাম্মদ সা:। যার আদর্শে পৃথিবী আজও মুগ্ধ, তিনি হজরত মুহাম্মদ সা:।
চরিত্রের সর্বোচ্চ স্তর খুলুকে আজিমের অধিকারী ছিলেন নবী মুহাম্মদ সা:। জাহেলিয়াতের চরম অন্ধকার যখন পৃথিবীকে গ্রাস করে বসেছিল, সেই চরম দুর্দিনে হজরত মুহাম্মদ সা: বিশ্বশান্তির বার্তা নিয়ে দুনিয়ায় এসেছেন। হেরার যে আলোকরশ্মি তিনি আল্লাহর কাছ থেকে ধারণ করলেন, তার মাধ্যমেই তিনি মহান এক সভ্যতা বিশ্বের মানুষের কাছে উপস্থাপন করেন। মহানবী সা: সমাজের সব পর্যায়ে মানবাধিকারের এমন এক নমুনা পেশ করেন, যা আজও জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে গোটা বিশ্বের কাছে অনন্য হিসেবে স্বীকৃত। তাঁর আদর্শ ও চারিত্রিক মাধুর্যের কারণে বর্বর আরব জাতি একটি সুমহান জাতিতে পরিণত হয়।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: ছিলেন মানবজাতির অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় মহান উদার, বিনয়ী ও নম্র ব্যক্তিত্ব। তিনি উত্তম চরিত্র ও মহানুভবতার একমাত্র আধার। পিতা-মাতা, স্বামী-স্ত্রী, প্রতিবেশী সবার অকৃত্রিম শিক্ষণীয় আদর্শ ও প্রাণপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নবী করিম সা: একাধারে সমাজসংস্কারক, ন্যায়বিচারক, সাহসী যোদ্ধা, দক্ষ প্রশাসক, যোগ্য রাষ্ট্রনায়ক এবং সফল ধর্মপ্রচারক।
কল্যাণকর প্রতিটি কাজেই তিনি সর্বোত্তম আদর্শ। তাঁর অসাধারণ চারিত্রিক মাধুর্য ও অনুপম ব্যক্তিত্বের স্বীকৃতি দিয়ে পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ’ ( সূরা আহযাব-২১)।