ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৮ জুন, ২০২২ ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৪৫ বার
আশা নবীদের বৈশিষ্ট্য, আশা মুমিনদের বৈশিষ্ট্য। আশাবাদী আল্লাহ নির্ভরশীল। আশাবাদী আল্লাহ রাহিম, আল্লাহ রাহমান, আল্লাহ কারিম, আল্লাহ রাউফুম বিল ইবাদ নামগুলোর প্রতি গভীর বিশ্বাস স্থাপন করে বলেই সে আশাবাদী হয়ে ওঠে। এ জন্য আশাবাদীকে আল্লাহ ভালোবাসেন। পক্ষান্তরে হতাশা শয়তানের বৈশিষ্ট্য। ইবলিশ মানে হতাশ। হতাশা ধ্বংসকে ডেকে আনে। আল-কুরআনে যেখানে কাসিরুন শব্দটি এসেছে সেটিই ক্ষতি বা ধ্বংস এর কথা বলা হয়েছে।
আল্লাহ তায়ালা মানুষ সৃষ্টি করলেন। তাদের আকৃতি দান করলেন। এরপর ফেরেশতাদের বললেন, আদমকে সিজদা করো। সবাই সেই নির্দেশ পালন করলেন কিন্তু ইবলিশ সেই নির্দেশ পালন করেনি। সে উত্তর দিলো আমি আদম থেকে শ্রেষ্ঠ, আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে আর আদম মাটির তৈরি। আল্লাহ বললেন, তুমি এখান থেকে বেরিয়ে যাও, এখানে অহঙ্কার করার অধিকার তোমার নেই।
তার যুক্তি আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। প্রকৃতপক্ষে আল্লাহর এই নির্দেশ অমান্য করে শয়তান কয়েকটি ভুল করেছে। এক. আল্লাহ আলিম, তিনি যে-ই সিদ্ধান্তই দেন জেনে বুঝেই দেন, তিনি হাকিম অর্থাৎ তিনি যেই ফায়সালা দেন বিজ্ঞতার সাথেই দেন। আল্লাহ মুতাকাব্বির, অহঙ্কার এককভাবে আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট। কোনো সৃষ্টির অহঙ্কার করার অধিকার নেই। আল্লাহ ছাড়া যদি কেউ অহঙ্কার করে তাহলে সে আল্লাহর সাথে শিরকে লিপ্ত হয়। শয়তান আল্লাহর এ গুণগুলোকে অবমূল্যায়ন করে বর্ণবাদী অহঙ্কারে লিপ্ত হয়। যার কারণে আল্লাহ তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। ফলে সে হতাশায় লিপ্ত হয় এবং ধ্বংসশীলদের অন্তর্ভুক্ত হয়। ইবলিশ মানে হতাশ।
আল্লøাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি তোমাদের সৃষ্টির সূচনা করলাম তারপর তোমাদের আকৃতি দান করলাম অতঃপর ফেরেশতাদের বললাম, আদমকে সিজদা করো। এ নির্দেশ অনুযায়ী সবাই সিজদা করল। কিন্তু ইবলিশ সিজদাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হলো না। আল্লøাহ জিজ্ঞেস করলেন, আমি যখন তোকে হুকুম দিয়েছিলাম তখন সিজদা করতে তোকে বাধা দিয়েছিল কিসে? সে জবাব দিলো- আমি তার চাইতে শ্রেষ্ঠ। আমাকে আগুন থেকে সৃষ্টি করেছ এবং ওকে সৃষ্টি করেছ মাটি থেকে। তিনি বললেন, ঠিক আছে তুই এখান থেকে নিচে নেমে যা। এখানে অহঙ্কার করার অধিকার তোর নেই। বের হয়ে যা। আসলে তুই এমন লোকদের অন্তর্ভুক্ত যারা নিজেরাই নিজেদেরকে লাঞ্ছিত করতে চায়।’ (সূরা আরাফ : ১১-১৩)