ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪,
সরকার অনুমোদিত নিবন্ধন নম্বর ১৯১
Reg:C-125478/2015

সবার ভালোবাসার পাত্র হবেন যেভাবে

ডেস্ক রিপোর্ট


প্রকাশ: ১৫ জুলাই, ২০২২ ২১:২৭ অপরাহ্ন | দেখা হয়েছে ৪৬২ বার


সবার ভালোবাসার পাত্র হবেন যেভাবে

মানুষের সঙ্গে উত্তম আচরণ করলে মানুষ আপনাকে ভালোবাসবে। আপনার কাছে আসবে। আপনার ওপর ভরসা রাখবে। আপনি যদি আচরণ-উচ্চারণে আপনার আশপাশের লোকদের এ কথা বোঝাতে পারেন যে সে আপনার কাছে সবচেয়ে প্রিয়, তাহলে আপনি হবেন সবার প্রিয় ব্যক্তি। সবাই চায়, মানুষ আমাকে ভালোবাসুক, আমার প্রতি সুন্দর ধারণা রাখুক, কিন্তু চাইলেই অনেকে তা পায় না। অথচ কিছু নিয়ম মেনে চললে মানুষের ভালোবাসার পাত্র হওয়া যায়। এখানে সেরকম কিছু নিয়ম তুলে ধরা হলো—

দুনিয়াবিমুখ হওয়াঃ

দুনিয়া থেকে যখন আপনি বিমুখ থাকবেন তখন মানুষ আপনাকে ভালোবাসতে শুরু করবে, এটাই চিরসত্য কথা। সাহল বিন সাদ (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘এক ব্যক্তি নবী (সা.)-এর কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে এমন একটি কাজের কথা বলে দিন, যা আমি করলে আল্লাহ আমাকে ভালোবাসবেন এবং লোকেরাও আমাকে ভালোবাসবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তুমি দুনিয়ার প্রতি অনাসক্তি অবলম্বন করো। তাহলে আল্লাহ তোমাকে ভালোবাসবেন। মানুষের কাছে যা আছে, তুমি তার প্রতি অনাসক্ত হয়ে যাও, তাহলে তারাও তোমাকে ভালোবাসবে।’ (আততারগিব ওয়াততারহিব: ৩২১৩)

মানুষের অবস্থা বিবেচনা করা :

আপনি যদি সমাজের নেতা বা শীর্ষস্থানীয় কোনো ব্যক্তি হন, তাহলে অবশ্যই মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে তাদের ছোট-বড় সব বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। কারণ মানুষের মানসিক অবস্থা অপরিবর্তিত নয়। সচ্ছলতা-অসচ্ছলতা, সুস্থতা-অসুস্থতা এ ধরনের নানা পরিস্থিতি মানুষকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। তাই মানুষের দিলে প্রভাব বিস্তার করে তাদের আপন করে নেয়া। আবু মাসউদ (রা.) বলেন, ‘এক সাহাবি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! আল্লাহর শপথ! আমি অমুকের কারণে ফজরের নামাজে অনুপস্থিত থাকি। তিনি (জামাতে) নামাজকে খুব দীর্ঘ করেন। আবু মাসউদ (রা.) বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে নসিহত করতে গিয়ে ওই দিনের মতো এত অধিক রাগান্বিত হতে আর কোনোদিন দেখিনি। তিনি বলেন, তোমাদের মধ্যে বিতৃষ্ণা সৃষ্টিকারী আছে। তোমাদের মধ্যে যে কেউ অন্যদের নিয়ে নামাজ আদায় করে, সে যেন সংক্ষেপ করে। কেননা তাদের মধ্যে দুর্বল, বৃদ্ধ ও কর্মব্যস্ত মানুষ আছে।’ (বুখারি: ৭০২)


   আরও সংবাদ